ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় গত ৭ বছরই সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন, তার মেয়ের জামাতা মনি, রাশেদ, শুভসহ ২০/২২ জনের একটি বাহিনী। সরকারের পট পরিবর্ন হওয়ার পর এরা কেহ হয়েছে জামাতী, কেহ বিএপি! যুবদল থেকে আসা, যুবলীগ নেতা মেয়র জামাতা মনি মুক্তাগাছায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আর সড়কে চাঁদাবাজির পৌর টুলের নামে রশিদ বই বিলিয়েছে বিল্লালের মেয়ে ও মনির স্ত্রী বিলকিস। তার নিয়ন্ত্রনে ছিল চাদাবাজ এর একাংশ। এই বাহিনীর হাতে হয়েছে, ডাক্তার পেটানা, রাস্তায় চাদাঁবাজী করানো, বাড়ি দখল, খুন খারাবী। এদের নিয়ন্ত্রক ছিলো, যুবলীগ থেকে দু,দফা বহ্নিস্কার করা কতিথ নেতা মনি। মনি পুত্র বিবেক সাবেক এমপি নজরুল ইসলামের গাড়িতেও হামলা করেছিল্।বিবেকেরো আছে কিশোর বাহিনী। তার অপরাধ কর্মের ব্যবস্তা নিতে গিয়ে গত ৫ বছরে ৭ পুলিশ পরিদর্শকের বদলী হয়েছে। গতকাল বিল্লাল হোসেন র্যাব-১৪ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।তার নামে ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্ষমতা আর জীবন দুটোই ক্ষনস্থায়ী। ক্ষমতার পালাবদলে মাহবুবুল আলম মনির অদৃশ্য গড ফাদার এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেনা এমন আলটিমেটামের কথা বাস্তবায়িত হয়েছে ৫ আগষ্টের পর।এদের একজন সন্ত্রাসী রাশেদ খোলস পাল্টিয়ে হয়ে গেছেন জামাতী। মুরিদও হয়েছেন এক জামাতী নেতার। এই সময়েওে তার দল নিয়ে বাইকে ধাবরিয়ে ঘুড়ে কামাচ্ছে টাকা!
স্থানীরা অভিযোগ করেছেন, প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবুর আমলে এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং চাদাঁবাজী, সন্ত্রাসী, খুনখারাবী, জমি দখল আধিপত্য বিস্তার সবই রেড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন আরো জানায়, এখন লোকজন প্রতিবাদ মূখর। এবার তারা তাদের অধিকার আদায় করবে। যুবলীগ নেতা আসাদ হত্যার পর জনতার ঐক্য বেড়েছে।
গত ৬ জুলাই/২০২১ মুক্তাগাছার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সালেকিন মামুনকে বেধরক পিটায় মাহবুবুল আলম মনি, রাশেদ ও তার দলবল। মামলা হওয়ার পর ডাক্তারকে তাৎক্ষনিক প্রত্যাহার করা হয়। এই মামলা রেকর্ডকারী পুলিশ পরিদর্শক দুলাল আকন্দকেও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সিসিফুটেজে এর বাস্তবতা থাকলেও পুলিশ এ মামলা থেকে মাহবুবুল আলম মনিকে অব্যহতি দিয়ে চার্জশীট দেয়। ঐ সময়ে মুক্তাগাছা থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদুল আলম ও ওসি তদন্ত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন মাহবুবুল আলম মনির প্রিয়ভাজন এস আই আমিনুল। মনিকে বাদ দিয়ে চার্জশীট দাখিলের পরে তিনি শেরপুর জেলায় বদলী হন, ফের বদলী হয়ে বর্তমানে মুক্তাগায় কর্মরত আছেন। এ ব্যপারে ডাক্তার সালেকিন মামুন জানান, এরপরও কি আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ থাকতে পারে?
মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন। তার মেয়ের জামাতা মাহবুবুল আলম মনি। পৌর সভার রাস্তার মোড়ে মোড়ে অটো, টেম্পু, সিএনজি, মাহেন্দ্র,পিকআপ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্লীপে হরদম হয় চাদাঁবাজী করিয়েছে। ভ্রম্যমান আদালত এদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে চাদাঁ উত্তোলনকারীরা জানায় তারা মাহবুবুল আলম মনির নির্দেশে চাদাঁ আদায় করেন।
মুক্তাগাছা শহরে এক বিধবা মহিলার দু’টি বাসা জোর করে দখলে নিয়েছে মাহবুবুল আলম মনি ও তার বাহিনী। বাসা দুটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা। হতভাগ্য মহিলা কোন আইনগত সহায়তাও নিতেই পারেনি।
মুক্তাগাছার নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষগুলো কতটাই ন্যায় বিচার পাবে? মনি বাহিনীর কারো কারো নামে ডজন, হাফ ডজন মামলাও রয়েছে। এই সন্ত্রাসী চক্রের রোষানলে পড়ে গত ৫ বছরে ৭ জন পুলিশ পরিদর্শকের বদলী হয়েছে। তাদের মধ্যে চৌকশ পুলিশ অফিসার আলীম মাহমুদ, বিপ্লব কুমার, আলী আহম্মেদ, দুলাল আকন্দ, মাহমুদুল হাসান উল্লেখ যোগ্য। মুক্তাগাছা থানায় কর্মরত আছেন টাংগাইল জেলার আব্দুল মজিদ ছিলেন মনি বাহিনীর প্রিয় ভাজন। অপর দিকে মুক্তাগাছার মেয়র বিল্লাল হোসেনের শশুর বাড়ি টাংগাইলে। চমৎকার যোগসুত্রে ওসি আব্দুল মজিদ মুক্তাগাছায় টিকে গেলেন অনেকটা সময়!
মনি’র নেতৃত্বে আর সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসের শিকার হলেন যুবলীগ এর আসাদ। গত ২৮ আগষ্ট মনি’র নির্শে আক্রমনের শিকার আসাদের ঐদিনই মৃত্যু হয়। আসাদ খুনের ঘটনায় বাদী তার অভিযোগে ঘটনার সময় উল্লেখ করেছেন রাত আনুমানিক সাড়ে আটটা। ঘটনার সময় আধা ঘন্টা এদিক ওদিক হতে পারে বলেও এ প্রতিবেদককে জানান।