আপন মামাতো ভাইয়ের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে পূর্বধলা উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের কালিহরচর গ্রামের সোহেল মিয়া এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর পুত্র সাগর মিয়ার কোপানলে পড়ে মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে সোহেল মিয়া ন্যায় বিচারের আশায় এলাকার গণ্যমান্য লোক সহ সাংবাদিকদের পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সরেজমিন এলাকায় ঘুরে জানা যায় স্থানীয় হাটখলা বাজারের পোল্ট্রি মুরগি এবং গরুর গোশতের ব্যবসা করত এই সোহেল মিয়া।কালিহরচর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সোহেল মিয়ার পেছনে শত্রুতা পোষণ করা শুরু করে তারই মামাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর ড্রাইভার পুত্র সাগর মিয়া। সে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় থানা পুলিশের যোগসাজশে ইয়াবা ট্যাবলেট দোকানে গুঁজে রেখে ধরিয়ে দেয় এই সোহেল মিয়াকে।পরবর্তী সময়ে জামিনে বেরিয়ে আসলেও বিভিন্ন ভাবে সাগর মিয়া সোহেল এবং তার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
এলাকার জনৈক শাহীন মিয়া জানান, আমি সাগরের কথায় কাজ না করায় সাগর মিয়া একটা মিথ্যা ডাকাতি মামলায় আমাকেও আসামি করেছে।আমি এ ঘটনার বিচার চেয়ে স্থানীয়ভাবে দরবার করে কোন মীমাংসা পাইনি।বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় সাগর মিয়ার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ৮১/৮২ সালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় চাকমা উপত্যাকায় অভিবাসী হয়ে এদেশ ছেড়ে চলে যান! পরবর্তী সময়ে শান্তি বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে সেখান থেকে পালিয়ে ঢাকা শহরে চলে আসেন।ঢাকা শহরে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে তার দুই ছেলেকে নিয়ে বিশেষভাবে পুলিশি হয়রানির শিকার হন এবং এক পর্যায়ে তার দুই ছেলেকে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি ব্যবসায় লাগিয়ে দেন।
এদের সবার বড় ভাই সাগর মিয়া একজন ট্রাক ড্রাইভার কাওরান বাজার সহ শ্যামবাজার এবং বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিভিন্ন অপরাধী গ্রুপের সাথে কাজ করায় বিশেষ পারদর্শী বলে কদর রয়েছে।তার শরীরে অজস্র রামদায়ের কোপের দাগ রয়েছে বলে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ফলাও করে প্রচার করে।
সোহেল মিয়া বলেন,আমারই আপন মামাতো ভাই আমার সহায় সম্পদ আত্মসাৎ এবং আমাদেরকে আমার পৈতৃক বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হীন উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সে বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে হয়রানি করে আসছে।ইতিপূর্বে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ দিয়ে আমাকে ধরিয়েছে এবং আমার লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।পরে এসে আমার বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা ডাকাতি মামলা দায়ের করেছে যা এখন বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে সে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে যে সময় এবং সুযোগ পাইলে আমাকে খুন জখম করে আমার লাশ গুম করে ফেলবে।এমতাবস্থায় আমি তার ভয়ে পলাতক জীবন যাপন করছি।
এ ব্যাপারে সোহেল এবং তার পরিবার পূর্বধলা থানা পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট এসপি নেত্রকোনা মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।