প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগকে ‘ইসলাম বিদ্বেষী’ সিদ্ধান্ত আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে ‘ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী’।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসদরের মারকাজ মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা এ সিদ্ধান্তকে ইসলামবিরোধী ও জাতি-বিদ্বেষী বলে আখ্যা দেন। বক্তারা আরও বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী মুসলিম পরিবারের সন্তান, অথচ তারা সঠিকভাবে কোরআন পড়তে বা নামাজ আদায়ের নিয়ম জানে না। ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে শিশুদের মধ্যে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে জাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বক্তারা অবিলম্বে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক নিয়োগে সংশোধনী আনার দাবি জানান এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানান। তা না হলে সারা দেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল ফজল। সঞ্চালনায় ছিলেন মারকাজ মসজিদের খতিব মাওলানা জয়নাল আবেদীন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মুফতি খায়রুল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল খায়ের বারাকাতুল্লাহ, ইত্তেফাকুল উলামা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সহসভাপতি মুফতি নাঈমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হক আজীজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহসহ স্থানীয় উলামায়ে কেরাম।##