ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শিবিরুল ইসলাম নিঃসন্দেহে একজন চৌকস পুলিশ অফিসার। সারাদেশে আলোচিত চৌকস ওসিদের নাম যখন চলে আসে, তখন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শিবিরুল ইসলাম এর নাম প্রশংসার পাতায় চৌকস অফিসার হিসেবে ব্যাপক আলোচিত হয়।
ক্লিন ইমেজের অধিকারী শিবিরুল ইসলাম সদরের আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সর্বদা চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন। এছাড়া কোতোয়ালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও অপরাধ নির্মূল্যে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তার পরিচালনায় মাদক বিরোধী অভিযানে প্রতিটি ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
আগেও তিনি মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা, ছিনতাইকারী-সন্ত্রাসী ও মারাত্মক অপরাধের ঘটনার সাথে জড়িত অসংখ্য সঙ্গবদ্ধ অপরাধী চক্রকে সাহসিকতার সাথে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা এলাকায় অপরাধীদের কাছে আতংকবাজ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
ওসি শিবিরুল ইসলাম সৎ ও সাহসীকতাকে পুঁজি করে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। এর ফলে কোতোয়ালী থানা এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী হামে, রেহেনা, সুরমাসহ বহু মাদক সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীকে গ্রেফতার করে সদরবাসীর মন জয় করেছেন।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ও বিচক্ষণ সুযোগ্য পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এর দিকনির্দেশনায় ওসি শিবিরুল ইসলাম সততা, বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন মারাত্মক অপরাধের ঘটনার সাথে জড়িত এবং অসংখ্য সঙ্গবদ্ধ অপরাধী চক্রকে সাহসিকতার সাথে গ্রেফতার করে সদরে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।
নগরীর মাদক জোন খ্যাত কেওয়াটখালী, বলাশপুর, কাশেম আলী কলেজের পিছনে, পাটগুদাম, রমেশ সেন রোড, মালগুদাম, পুরোহিতপাড়া, কৃষ্টপুর, বাঁশবাড়ি কলোনী, সানকিপাড়া শেষ মোড়, বাকৃবি শেষ মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্পটে গাঁজা, ফেনসিডিল, চোলাই মদ, ইয়াবা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের স্বর্গরাজ্য ছিল। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় ছিল, এই মাদকের সবচেয়ে বেশি ক্রেতা উঠতি বয়সের যুবকরা।
চৌকস পুলিশ অফিসার ইন্সপেক্টর শিবিরুল ইসলাম কোতোয়ালী মডেল থানায় যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন। তিনি তার স্পেশাল টিম নিয়ে নগরীর সকল মাদক স্পট গুঁড়িয়ে দেন এবং সর্বাধিক মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাকে মাদকসহ গ্রেফতার করে ২০১৪ সালের মত আবারো আলোচনায় আসেন। ২০১৪ সালে উপ-পরিদর্শক হিসাবে ছিলেন “অপরাধীদের জম”। এখন তিনি পরিদর্শক, ময়মনসিংহ সদরের সকল অপরাধী তার নখদর্পণে।
এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনী, র্যাব, জেলা গোয়েন্দা সংস্থার উত্তর ও দক্ষিণ এর পাশাপাশি কোতোয়ালী থানা পুলিশ নিয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা। এছাড়া কোতোয়ালী মডেল থানার অন্তর্গত ১নং, ২নং, ৩নং পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা সর্বদা রয়েছে সজাগ।
শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে নগরীতে চোলাই মদ ও অবৈধ ভারতীয় মদ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। এর ফলে দুর্গাপূজায় বিশৃংখলা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পূর্বের বছরগুলোর ন্যায় এ বছরও উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে সদরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত যেন হয় এবং উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে ওসি শিবিরুল নগরীর রমেশ সেন রোডস্থ নিষিদ্ধ পল্লীতে তার স্পেশাল টিম নিয়ে ব্যাপক ভাবে হানা দেয়। এতে বিপুল পরিমানে চোলাই মদসহ অবৈধ ভারতীয় মদ উদ্ধার করে।
এছাড়া ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দমনে বলাশপুর আবাসন পল্লীতে ওসি শিবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার স্পেশাল টিম হানা দেয়। সেই অভিযানে ১১ জন মাদক বিক্রেতা-ছিনতাইকারী ও ৬ জন মাদকসেবীকে গ্রেফতার করা হয়।
শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব উপলক্ষে ওসি শিবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা উন্নতির রক্ষার্থে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দিবা-রাত্র নিয়মিত পুলিশ টহলের মাধ্যমে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রেখেছেন। দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ সদরে যেকোনো সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে রাখছেন তুখর দৃষ্টি।
শিবিরুল ইসলাম ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে। তিনি অপরাধ দমনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। “নেই নিদ্রা-নেই ক্লান্তি” সদরবাসীকে দিচ্ছেন শান্তি!