ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মানব সম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্প (জিওবি-বিশ্বব্যাংক) প্রকল্পের আওতায় ২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়ায় প্রায় ১৮ লক্ষ টাকায় নির্মাণ হয় একটি পাবলিক টয়লেট, যা নির্মাণের দের বছর পার হয়ে গেলেও এখনো ব্যবহার করতে পারছেনা সাধারণ জনগণ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলতাপাড়া বাজার থেকে কিছুটা দূরে পাবলিক টয়লেটটিতে তালা দেওয়া। অতচ ২৪ ঘন্টায় এটি খোলা থাকার কথা। টয়লেটটি দেখাশোনা করার জন্যে একজন লোক থাকার কথা সেটিও চোখে পড়েনি। এসব দেখে স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই এটি অবহেলায় ধুঁকছে। কেউ কোন খোঁজখবর নিচ্ছেনা। টয়লেটটির জমিদাতার নিকট চাবি রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে জমিদাতা মো. আব্দুল হালিম জানান, নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এটিতে কেউ আসেনা, সচল রাখার জন্যে স্থানীয় মাদ্রাসার হুজুরের কাছে চাবি দেওয়া আছে। মাদ্রাসার ছাত্ররা মাঝেমধ্যে এটি ব্যবহার করছেন।
স্থানীয় কলতাপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান লালন জানান, ‘বাজার থেকে পাবলিক টয়লেটটি অনেকটা দূরে এবং তার আগে একটি মাদ্রাসা আছে অনেকে সে মাদ্রাসার টয়লেটটি ব্যবহার করে। স্থান নির্ধারণের ত্রুটির ফলে অনেকে জানেইনা এখানে একটি সরকারি পাবলিক টয়লেট আছে, আর যারা জানেন দূরের কারনে কেউ যেতে চায়না।'
স্থানীয় মো. সাদেক মিয়া জানান, প্রথম অবস্থায় এটি খোলা ছিল কিন্তু আগেই একটা মাদ্রাসা থাকার কারণে অনেকে সে মাদ্রাসার টয়লেট গুলোই ব্যবহার করছে। বর্তমানে সরকারী পাবলিক টয়লেট খুলে দিলে সর্বসাধারণ এটির সুফলভোগ করতে পারতো।এখন এটি কেন বন্ধ তা বলতে পারছিনা।
ডাউকি গ্রামের মো. এনামুল হক জানান, আমি কলতাপাড়া বাজারে সদাইপাতি কেনার জন্যে আসি, টয়লেট পেলে স্থানীয় মাদ্রাসা ও মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করতে হয়।
তিনি আরও জানান, ‘সরকারি যে একটা পাবলিক টয়লেট আছে তা জনগণ জানেইনা, আবার সেটা রাখে বন্ধ। বন্ধ পাবলিক টয়লেটটি খুলে দিলে আমরা যারা দূর থেকে আসি তাদের জন্যে ভালো হয়।’
এব্যাপারে জানতে চাইলে কলতাপাড়া বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কাজল জানান, আমরা মসজিদের পাশে স্থান নির্ধারণ করে দিলেও সে স্থানে টয়লেট নির্মাণ করেনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে গৌরীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সালাহ্উদ্দীন সোহেল জানান, আমরা পাবলিক টয়লেটটি হস্থান্তর করা করেছি। কিন্তু তারা কেন ব্যবহার করতে পারছেনা তা বলতে পারছিনা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া আমীন পাপ্পা জানান, আমি সাংবাদিক মারফত জানতে পেরেছি, দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।