
গত ১৮/০৬/২০২৫ তারিখ ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন গাঙ্গিনারপাড় ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন অলকা নদী বাংলা কমপ্লেক্স এর ২য় তলায় জিরো পয়েন্ট বাইসেল এক্সচেঞ্জ নামক মোবাইল দোকানের শার্টারের তালা কাটিয়া অজ্ঞাতনামা চোরেরা সর্বমোট ১৪৩ টি বিভিন্ন ব্রান্ড ও বিভিন্ন মূল্যের স্মার্ট মোবাইল ফোন, বাজার মূল্য অনুমান ৫৫,০০,০০০/-(পঞ্চান্ন লক্ষ) টাকার আলামত এবং নগদ ৮,০০,০০০/-(আট লক্ষ) টাকা চুরি করিয়া নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামী গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারের জন্য মাননীয় পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ মহোদয়ের সার্বিক তত্বাবধানে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত (ক্রাইম এন্ড অপস্), ময়মনসিংহ মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ (ডিবি), ময়মনসিংহ-এর তদারকিতে ডিবির একটি চৌকস টিম ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে ১২/১০/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে আসামী মোঃ বাদশা চৌধুরী (২৬), পিতা-আব্দুর রাজ্জাক, মাতা-মাহফুজা আক্তার, স্ত্রী-উম্মে হাবিবা, সাং-কালা মিয়া বাজার, থানা-বাকুলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, এপি-দক্ষিণ পেন্নাই জনৈক হারুন মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা, মোঃ শাহিন (২৫), পিতা-মৃত আজিজুল হক, মাতা-ছালেহা বেগম, স্ত্রী-লাকী বেগম, সাং-গোহারুয়া, ইউ/পি-ঘোড়া ময়দান, থানা-লাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা, এপি-ঘোড়া ময়দান, থানা-লাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা, এপি-তালতলা, ডাক্তারের বাড়ী, কাজীপাড়া রোড, জাঙ্গালিয়া, পদুয়ার বাজার, থানা-সদর দক্ষিণ, জেলা-কুমিল্লা, ও মোঃ আবুল খায়ের (২৭), পিতা-মৃত নূর আলম, মাতা-তাহেরা বেগম, সাং-পেরুল দীঘির পাড়, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমান ঠিকানা-গৌরীপুর দক্ষিণ পেন্নাই, হারুন মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লাদেরকে গ্রেফতার করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ হেফাজতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মোঃ বাদশা চৌধুরী (২৬) উক্ত ঘটনায় নিজেদের জড়িতসহ যে কৌশলে অলকা নদী বাংলা মার্কেটে চুরি করিয়াছে তাহার বিস্তারিত বর্ণনা বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। উক্ত ঘটনায় অপরাপর জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।