
পেশাগত অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ জে এম হারুন অর রশিদকে কারণ দর্শানোর ব্যাখ্যা প্রদানের নোটিশ করা হয়েছে। আজ রোববার( ২৬ অক্টোবর ) পরিচালনা কমিটি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী সভা করে এই ব্যাখ্যা প্রদানের নোটিশ প্রদান করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. শামসুজ্জামান ভূঁইয়া রিটু ৩ সদস্যের অডিট কমিটির তদন্তের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হন।এর আগেও তাকে বিভিন্ন কারণে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। একাধিক শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি জানান হারুনুর রশিদ এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চলেছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ও সমন্বয় না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও অপমান করা হতো। তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা নীতিমালা অনুসরণ না করে আয়-ব্যয়ের হিসাব ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করেননি। এছাড়া তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজের খেয়াল খুশি মতো বিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন। ব্যাখ্যা প্রদান নোটিশ থেকে জানা যায়, ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রধান শিক্ষককে তার ব্যাখ্যা ও প্রমাণাদি উপস্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও পেশাগত অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই সময় বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামসুজ্জান ভূইয়ার আমন্ত্রণে সাবেক ও বর্তমান অভিভাব সদস্য গন, শিক্ষার্থীর অভিভাবক, সাংবাদিক এবং এলাকার সচেতন মহল উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে হারুন অর রশিদ সভাপতি শামসুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে বলেন আমার এলাকায় এমন ঘটনা ঘটলে এমনটি হত না। তাই আমি আজ বিড়ালের মতই থাকতে হচ্ছে এই বিদ্যালয়ে। সাবেক পরিচালনা কমিটির সদস্য শাহ আলম জানান তার আমলে হারুন অর রশিদ ৬ লাখ টাকার বিনিময় প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তি হন। এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। আরো কিছু প্রশ্ন করলে উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি।