প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৭, ২০২৫, ৮:১৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ৯:৪১ পি.এম
বিদ্যাগঞ্জ ঘাটে ব্রম্মপুত্র নদী ভাসমান লাশের পরিচয় সনাক্ত ২ খুনি গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে হত্যা করে ময়মনসিংহে লাশ ভাসানোর পর গলিত লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ খুন করে বিদ্যাগঞ্জ ঘাটে ব্রম্মপুত্রের বুকে পেট কেটে ডুবিয়ে দেয় দুই খুনি!
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে খুনের পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহে এনে ব্রম্মপুত্র নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। কোতোয়ালী থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত ও তথ্য বিশ্লেষণের পর অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
মামলার এক নম্বর আসামি রায়হান এবং দ্বিতীয় আসামি ইয়াসিন তাদের নিজ বাসায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে হত্যা করে। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশ গাড়িতে করে বিদ্যাগঞ্জ ঘাট এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে লাশের পেট কেটে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়, যাতে লাশ ভেসে না উঠে এবং পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হয়।
কিন্তু বিধিবাম তাদের সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।
বিদ্যাগঞ্জ এলাকায় নদীতে ভাসমান লাশ উদ্ধারের পর সদর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি ‘ক্লু-লেস’ হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলাটি শুরু থেকেই সংবেদনশীল ও চ্যালেঞ্জিং ছিল।
তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন এস আই মাহাবুব এবং সহযোগিতা করেন এ এস আই হুমায়ুন কবির।
সদর সার্কেল অফিসার এবং ওসি মোঃ শিব্বিরুল ইসলাম এর সরাসরি তদারকি ও দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্ত প্রতিটি ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়। মিলে লাশের পরিচয়। নিহতের নাম আবু সাইদ।
গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং মাঠ পর্যায়ের অভিযানের মাধ্যমে অবশেষে গ্রেফতার করা হয় আসামি রায়হান ও ইয়াসিনকে।
গ্রেফতারের পর উভয়েই হত্যাকাণ্ড এবং লাশ নদীতে ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছে।
Copyright © 2022 www.mymensingherkhobor.com - All rights reserved.