ময়মনসিংহে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পৃথখ অভিযানে অপহৃত দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। বুধবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও বৃহস্পতিবার ভোরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হলে তারা ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। উদ্ধারকৃতরা হলো ফুলবাড়িয়ার মার্জিয়া আক্তার (১৪) ও হালুয়াঘাাটের রুনা আক্তার (১৬)। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ফুলবাড়িয়ার ভাটিপাড়া বালাশ্বর এলাকার স্কুল ছাত্রী মার্জিয়া আক্তারকে প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হয়ে সানোয়ার হোসেন নামীয়রা গত ২২/৫/২২ তারিখে স্কুলে যাওয়ার পথে সিএনজিযোগে অপহরণ করে তুলে নিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মার্জিয়ার মা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু দরখাস্তনং- ৮৪/২০২২, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ এ মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল মিয়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার দক্ষিণ ধনুয়া নতুন বাজার প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন মোঃ চাঁন মিয়ার বাসায় ছানোয়ার হোসেনের হেফাজত মার্জিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে। অপরদিকে পুর্ব পাবিয়াজুড়ির অপহৃত রুনা আক্তারকে বৃহস্পতিবার ভোরে হালুয়াঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আরো বলেন, রুনা আক্তার স্কুলে যাওয়া আসার পথে স্থানীয় মোঃ নাঈম তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করাসহ প্রেম নিবেদন করত। নানা কৌশলে ব্যর্থ হয়ে নাঈম ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং রুনা আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে বিবাহের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ১৩/৪/২২ তারিখে নাঈম অন্যান্যদের সহযোগীতায় রুনা আক্তারকে জোরপূর্বক সিএনজি তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় তার বাবা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু দরখাস্ত নং-৬০/২০২২, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ এ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের দিক নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোাে হালুয়াঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করে।