জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে গেছে পুলিশী সেবা। শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানা এলাকা ঘুড়ে এমন মন্তব্যয়ই শুনাগেছে। দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়েছে থানা কম্পাউন্ডেরো। থানা যেন বিনোদনের পার্ককেও হার মানিয়েছে। যদিও সেখানে বিনোদন নেই ,পরিবেশ সৌন্দর্য, সবটাই মনোরম। পুলিশী সেবার মান এমন হওয়ায় নাখোশ হয়েছে থানার পেশাদার দালালরা। গত দেড় বছর ধরে পুলিশের নামে উৎকোচবাজী ধান্দাবাজী কমেগেছে তাদের। এমন দালালীতে শুধু সমাজের বিতর্কিত মানুষই ছিলোনা, রয়েছে কতিপয় গনমাধ্যম কর্মীও। যারা নিজের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে দালালদের কাছে লাভবান হয়ে মুলধারার সাংবাদিকতাকেও করেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। ছোটখাটো পত্রিকার সাংবাদ ও অনলাইন পোর্টলের সাংবাদিকদের সংবাদকে দিয়েছেন রামধোলাই। তারা কিধরনের সাংবাদিকতা করেছেন? আর দালালদের ফরমায়েসী নিউজ প্রকাশ করে সারা জেলায় মহান পেশাকে বিতর্কিত করার সমালোচনার জনশ্রæতি গতকাল অনুসন্ধানে দেখাই গেছে। উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশের সত্যতা, বিশস্থতা যেন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে দালালদের ফরমায়েসী নিউজ প্রকাশে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে করেছেন প্রশ্নবিদ্ধ।
ঘটনার সুত্রপাত হয়, গত ১৯ আগষ্ট শ্রীবরদী থানার বারারচর বলদিপাড়া ইছাহাকের বাড়িতে আগুন লাগাকে কেন্দ্রকরে। সেখানে অগ্নীদগ্ধ হয়ে ৩ বছরের শিশু ইসমাইল মারা যায়। ইসমাইলের মাকে বিয়ে করার পর স্বামী আমিনুল আরেকটি বিয়ে করে, ৩ বছর ধরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। স্ত্রী বা সন্তানের বরণ পোষন বন্ধ করে দেয়ায় তালাকের পর্যায় চলে আসে। বাধ সাঝে কাবিনের ৪ লাখ টাকা। এতই সমস্যা দেখা দেয় স্বামী আমিনুলের। অনাকাঙ্খিত ভাবে শিশু ইসমাইল মারা যাবার পর আমিনুল থানার দালালদের মাধ্যমে স্ত্রী’র নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে চান। দালালদের সাথে যোগদেন দুজন সংবাদকর্মীও। তারা পুলিশকে অপমৃত্যু মামলা রুজু থেকে বিরত রাখতে পুলিশের কলম কেড়ে নেন। ওসি সরকারী কাজে ব্যস্ত থাকলেও তাকে থানায় আসতেই হবে এমন ফরমান জারী করেন দালাল ও দুজন সংবাদকর্মী। পুলিশী কাজে বাধাঁ আর বিব্রত পরিস্তিতিতে অবাক ছিলো সকল পুলিশ। অবশেষে অপমৃত্যু মামলাটি রুজু হয়। আইনি জটিলতা এমন র্র্ব্যথতায় দালালদ্বয় ও গনমাধ্যমকর্মীরা কোমর বেধেঁ লেগে যান থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। ঢালাও ভাবে দালালদের লোকজন ও বহু মাদক মামলার আসামীদের মা’কে নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মুলধারার দাবীদার সাংবাদিকদ্বয় চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ করেন। তাদের মুলধারা নিয়েই শ্রীবরদীতে এখন সমালোচনার ঝড়।
মুলধারার সাংবাদিক দাবীদারদ্বয় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন, শ্রীবরদীর সাতানী মথুরাধী দক্ষিন এর সাজেদা বেগমের ভাষ্য নিয়ে। তার ছেলেদ্বয়ের নামে বিনা দোষে মামলা দিয়েছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ! অথচ তার ছেলেদ্বয়ের নামে থানায় হাফ ডজন করে মামলা রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশের পুলিশ জিরো ট্যালান্সে রয়েছেন। ১৭ জুলাই মাদকের আধিপত্য বিস্তারে সাদ্দাম ও শাহজান কোপা ও ছুড়ি নিয়ে গিয়ে মারামারি করেছেন। সাজেদার পুরো পরিবার মাদক ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর, মসজিদের ইমামসহ স্থানীয় শতাধিক লোকজন। এখানেও মুলধারার দাবীদার সাংবাদিকরা একচোখা সাংবাদিকতা করেছেন!
শ্রীবরদী থানার ওসির বিরুদ্ধে দালাল ও মাদক ব্যবসায়ীর মায়ের অভিযোগের সত্যতা জানতে একাধিকবার থানায় গিয়ে যোগাযোগের চেস্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান,স্থানীয় ভাবে অনুসন্ধান করে দেখুন কতটা সত্য আর কতটা মিথ্যা?
থানায় দালাল, উপজেলা অফিসে দালাল ও ভুমি অফিসে দালাল শ্রীবরদী এলাকায় এর সংসংখা হাতে গুনা ১৫/১৬ জন। গত প্রায় দেড় বছর ধরে থানায় দালাল শুন্যে কোঠায়। সেবাও পৌছে গেছে জনগনের দোড়গোড়ায়। থানা এলাকায় বিট পুলিশিং আর কমিউনিটি পুলিশিং লোকদের সচ্চোচার করেছেন ওসি বিপ্লব কুমার। পুলিশের সেবাও পৌঁছে গেছে জনগনের দোরগোড়ায়। তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও মুক্তাগাছায় সুনামের সাথে চাকুরি করে গেছেন। এসব এলাকায় থানার দালাল ছিলোনা বললেই চলে। জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিরা ওসি বিপ্লব কুমারের সুন্দর মনের ও কর্মদক্ষতার সংবাদও প্রকাশ করেছেন। দালালী বন্ধ করে দেয়ায় শ্রীবরদীতে দালালরা উঠেপড়ে লেগেছেন থানার পুলিশের বিরুদ্ধে! তারা নিজেদের লোকের বক্তব্য দিয়ে সংবাদও প্রকাশ করিয়েছেন! বিব্রত পুলিশ ও স্থানীয় জনগন। স্থানীয় পৌর মেয়র কথা বলেছেন এ প্রতিবেদকের সাথে, তিনি যেন পুলিশের সেবায় পঞ্চমুখ। জনগন পুলিশের সেবা পাচ্ছে এটাই তার কাম্য। বিট পুলিশিং এর লোকজন সোচ্চার হওয়ায় থানার দালালী করা লোকদের যেন আঁতে গাই লেগেছে। ভাড়া করছে সাংবাদিক আর ভষ্য দিচ্ছেন দালাল। চমৎকার মূলধারার সাংবাদিকতা।