কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র শান্তি-শৃঙ্খলা সর্বত্র এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ময়মনসিংহে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২ উদযাপিত হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা জেলা পুলিশ ও জেলা কমিউনিট পুলিশিং কমিটির আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ লক্ষে শনিবার সকালে নগরীর কালিঝুলি মোড় থেকে র্যালী বের করা হয়েছে। র্যালীটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইন্সে বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।
রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি আবিদা সুলতানা, মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ,
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ জহিরুল হক খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ এহতেশামুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহ সসভাপতি ডাঃ কে আর ইসলাম, কমিউনিটি পুলিশিং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন।
এর আগে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখন, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের গোড়া পত্তন ময়মনসিংহ জেলা থেকে। তৎকালীন পুলিশ সুপার আহমেদুল হকের হাত ধরে নগরীর মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় টাউন ডিফেন্স গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান আইজিপি শহিদুল হক সারাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং চালু করেন। তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নত করতে হবে। এ লক্ষে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি নির্মুল করতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনতা পুলিশ মিলেমিশে কাজ করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দী ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের দফতর সম্পাদক স্বপন সেন গুপ্তের সঞ্চালনায় সভায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ, র্যাব-১৪, সিআইডি, পিবিআই, টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপারগণ, জেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।