ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ৫ বছর যাবৎ সুনাম ও দক্ষতার সাথে পরিবার কল্যান পরিদর্শকা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন শাহনাজ পারভীন । ৩ বছর যাবৎ কোয়ার্টারে থাকেন। ২০১৯ সালে তৎকালীন পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ময়মনসিংহের উপ- পরিচালক আব্দুর রউফ, শাহনাজ পারভীন ও তার পরিবারকে কোয়াটারে থাকার অনুমতি দেন। একই মিটারে, কোয়ার্টার ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, বিদ্যুৎ বিল অফিস থেকে ই দেয়া হত। কিন্তু বর্তমান, টি এফ পি ও, মোঃ মাহাদী হাসান খান,শাহনাজ পারভীন কে বিদুৎ বিল দিতে বলেন। অভিযোগ ওঠেছে, প্রায়ই বিদ্যুৎ বিলের জন্য শাহনাজ পারভীন কে উপজেলা অফিসে ডেকে নিয়ে অপমান অপদস্ত এবং মানসিক টর্চার করেন, টি এফ পি ও, মাহাদী হাসান খান।
জানা গেছে, এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিল বাবদ শাহনাজ পারভীন ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও, চলতি বছরের জুলাই মাসে, কোয়ার্টারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।এ সময় শাহনাজ পারভীন বাসায় ছিলেন না,মাঠ পর্যায়ে স্যাটেলাইট ক্লিনিকের ডিউটিতে ছিলেন।পরে বাসায় এসে দেখেন তার ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন! পরে একই অফিসের এস এ সি এম ও, জেসমিন আক্তার এর কাছে জানতে পারেন অফিস আদেশে ই নাকি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরে শাহনাজ পারভীন বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য মাহাদী হাসান খানের সাথে আতাত করে উঠে পরে লেগেছিলেন,এস এ সি এম ও জেসমিন আক্তার নিজেই ।
এদিকে কোয়ার্টারে তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে শাহনাজ পারভীনের, অন্ধকারে হাটতে গিয়ে পায়ের নক উঠে গেছে। তার ছেলে মানসিক সমস্যায় ভূগছে। স্কুল থেকে বঞ্চিত। যদিও শাহনাজ পারভীন দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি স্বরুপ ময়মনসিংহ থানা ও জেলা পর্যায়ে ১ম স্হান অর্জন করেন।শাহনাজ পারভীনের সুযোগ- সুবিধা না বাড়িয়ে শাস্তিযোগ্য বদলি করা সহ টাকা ছাড়া, এল পি সি, দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মাহাদী হাসান খান এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
যদিও শাহনাজ পারভীন একজন দায়িত্ববান কর্মী হিসেবে কাজ করে স্হানীয় এলাকা বাসীর মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের টি এফ পি ও মাহাদী হাসান খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, এটা বিদ্যুৎ বিভাগের বিষয়, এবং বদলির বিষয়টি অফিশিয়াল বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে স্হানীয় সচেতন মহল মনে করেন বিষয় টি নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।