সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের রয়েছে অনেক অভিযোগ। এর মধ্যে ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।
সদর উপজেলায় যোগদান করে অল্প সময়ে ই তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। সদর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
গত ২০২২ সালে ২৭ এপ্রিল তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি সদর উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করে। কমে যায় জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পায় জনসেবার মান।
উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
তাছাড়া ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইউএনও’র এসব সাফল্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ময়মনসিংহের একজন সাংবাদিক বলেন,‘সরকারের একজন উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে ইউএনও স্যার অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করেছেন। তার ভালোবাসা এবং সততায় সদরের আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ, যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।’
ইউএনওর কাজের প্রসংশা করতে গিয়ে স্হানীয়রা জানান, ইউএনও সাহেব যেভাবে মানুষের সাথে মিশে গেছে সত্যিই অভাক হওয়ার মতো। এলাকার লোকজন তাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন- ‘কাল কখন অফিসে থাকবেন,আমাদের একটি সমস্যা নিয়ে আপনার কাছে আসবো’ আসলেই তিনি সাধারণ মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন বাস্তবায়ন ও সদর একটি আধুনিক উন্নত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এটি আমার নৈতিক দায়িত্ব,আমাদের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা সব সময় আমার কাজে সহযোগিতা করছেন প্রকৃতপক্ষে ভালো কাজ করলে সবাই সহযোগিতা করেন। সর্বোপরি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমি হয়তো একদিন এই উপজেলায় থাকব না, কিন্তু থেকে যাবে আমার কর্ম।