ময়মনসিংহ তথাকতিথ এনজিও’র প্রধান মোঃ সাইয়েদুজ্জামান খোকন (৫২) হাজতবাস করা সময়য়ে তারইচতুর্থ স্ত্রী মাহবুবা আক্তার পান্নার চতুরতা করে ভৌতিক ঘটনা সাঝিয়ে তার স্বামীর বংশের ভাই, ভাইবৌ, তাদের সন্তানদের পারিবারিক বিরোধে আসামী করে মামলা ঠুকে দিয়েছে। আসামীদের অনেকেই বহুদিন ধরে ঘটনাস্থল বাড়িতে যাওয়া আসা করেনা। তবুও মামলাটি মুক্তাগাছা এফ আই আর হয়েছে! মামলায় ২৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শহিদুজ্জামান রিপনসহ অপরাপর বিবাদীদের তার প্রতিবেশী দাবী করলেও তারা মূলত মোঃ সাইয়েদুজ্জামান খোকন (৫২) এর সহোদর ভাই, চাচাতো ভাই, ভাইবৌ, ভাতিজা রয়েছে। আসামীদের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি ও জমিজমা নিয়া বিরোধ রয়েছে। ঘটনার দিন ৩০ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় মুক্তাগাছা খানাধীন গয়েসপুর সাকিনস্থ। বাদী উল্লেখ করেছে আমার বসতঘরে উল্লেখিত সকল বিবাদীগন পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বেআইনী জনতাবদ্ধে দা, বল্লম, কিরিচ, চূড়া, লোহার রড, কাঠ ও বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়া সজ্জিত হয়ে অনধিকার প্রবেশ করিয়া বাদীর হাফ বিল্ডিং বসতঘরের দরজা, জানালা, গ্রীল, ঘরের ভিতরে থাকা সুকেজ, ওয়াড্রপ, চেয়ার, ড্রাইনিং টেবিল, টিডি, চাউল, আটা, ডাইল সহ বিভিন্ন মালামাল ভাৎচুর করিয়া অনুমান ৩,৫০,০০০/-টাকা ক্ষতিসাধন করে। সুজন মিয়া অন্যান্য বিবাদীদের সহযোগিতা আমার বসতঘরের ওয়াড্রপের ড্রয়ারের তালা ভাঙ্গিয়া নগদ ১,৪৫,০০০/-টাকা নিয়া যায়। প্রান্ত মিয়া বিবাদী অন্যান্য বিবাদীদের সহযোগিতা আমার বসতগরের সুকেচের ড্রয়ারের তালা রাদিয়া ৩ ভরি ৮ আনা স্বজনের স্বর্ণ অলংকার যাহার মূল্য অনুমান ৩,৮০,০০০/-টাকা নিয়া যায়। সোহেল মিয়া অন্যান্য বিবাদীদের সহযোগিতা আমার বসতঘরের সামনে উঠানে থাকা ১০টি দেশী হাঁস যাহার মূল্য অনুমান ৭,০০০/-টাকা নিয়া যায়। মোঃ সাইয়েদুজ্জামান খোকন (৫২) এর চতুর্থ স্ত্রী মাহবুবা আক্তার পান্না উল্লেখ করেন, বিবাদীদেরকে বাধা নিষেদ করায় তাকে অকথ্য ভাষা গ্যালিগালাজ করিতে থাকে। তখন সে এবং তার স্বামী মোঃ সাইয়েদুজ্জামান খোকন (৫২) বিবাদীদের গালিগালাজে প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগণ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া তাকে প্রকাশ্য ধারালো দা দেখাইয়া খুন করার হুমকি দিয়া মারপিট সহ খুন জখম করিতে উদ্যত হয়। তাদের ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন আদাইয়া আসিয়া প্রাণে রক্ষা করে এবং সাক্ষীদের মোকাবেলায় বিবাদীগন তাকে ও তার স্বামীকে খুন, জখমের হুমকী প্রদান করে চলে যায়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনদের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। অভিযোগ তার কথামতো লেখা হইলে এবং তাকে পড়ি ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ইং-৩০/০৭/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:০০ ঘটিকা। যার মামলা নং ১২, তাং ২৬ আগষ্ট/ ২০২৪।
একবারেই প্রতিবেশী মেম্বার হান্নান জানান, আমি এমন ঘটনার কথা জানিনা। কেউ বলেওনি। মামলা হয়েছে শুনেছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান হোসেন আলী জানান, আমি এমন ঘটনা মামলা হওয়ার পর শুনেছি। এমন ঘটনার খবর আশপাশের কেউ জানেনা।
ঘটনার স্থলের ডান-বামের প্রতিবেশীরা বলেছে, এমন ঘটনা কথনোই ঘটেনি। তারা অবাক হয়েছেন পুলিশ কি ভাবে এমন মিথ্যা ঘটনায় মামলা নিল!