স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানায় যে কোন প্রয়োজনে যে ব্যক্তিই আসছেন, সবাই মনের দিক দিয়ে খুশি হয়ে ফিরছেন। পুলিশ জনগণের সেবক। এই কথাটি প্রমাণ করে দিচ্ছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ। সেবা গ্রহীতাদের সাথে আসা কোমলমতি শিশুদের চকলেট দিয়ে এভাবেই আপ্যায়ন করার দৃশ্য আবারো মনে করিয় দিল পুলিশ জনগণের সেবক। একজন ওসি’র মন মানুষিকতা পাল্টে দিয়েছে পুরো থানার চিত্র।
পুলিশ পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি হিসেবে দায়িত্বরত। তিনি এই থানার আগে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি হিসেবে ৩ বছরের অধিক সময় সুুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোতোয়ালী মডেল থানায় যোগদান করেই ষভা, সেমিনারে তিনি প্রকাশ্য ঘোষণা দেন, আমরা (পুলিশ) জনগণের সেবক। আমরা সেবা দিতে এসেছি। থানায় যে কোন প্রয়োজনে এসে কেউ হয়রানী, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির স্বিকার হবে না। জিডি কিংবা মামলা করতে কোন অর্থ খরচ হবে না। প্রায় এক বছর হতে চলছে কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি শাহ কামাল আকন্দের দায়িত্বকালীন সময়। নেই কোন বদনাম, নেই অভিযোগ। নেই বদমেজাজীপনা বা পুলিশী মেজাজ। একজন সাধারণ মানুষের মত আচরণ করছেন প্রয়োজনে আসা মানুষদের সাথে। এক্ষেত্রে কে বড়, কে ছোট বা কে ক্ষমতাধর তা বিবেচনায় না নিয়ে একজন বিচারপ্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বিচারপ্রার্থীর সাথে আসা কোমলমতি, শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ্যদেরকে তিনি যথাযথ সম্মান দিয়ে কাজ করছেন। মঙ্গলবার একজন নারী সমস্যা নিয়ে থানায় আসেন। ঐ নারীর সাথে এক শিশু বাচ্চা ছিল। শিশুটি তার মায়ের সমস্যা কিংবা এটা কোন অফিস, কোথায় এসেছে তা না বুঝে দৌড়ঝাপ করছিল। শিশুটিকে নিজের সন্তানের মত আদর দিয়ে ওসি শাহ কামাল আকন্দ নিজে তার চেয়ার থেকে উঠে এসে চকলেট তুলে দেন। একটি চকলেট পেয়েইে শিশুটি মহাখুশি। চেয়ার থেকে উঠে শিশুকে চকলেট দেয়ার দৃশ্য দেখে উপস্থিত কয়েকজন আবারো তুলে ধরলেন ওসি শাহ কামাল আকন্দের মানবিক বিষয়াবলি। সবাই একবাক্যে বলছেন। তিনি একজন মানবিক ও দায়িত্বশীল ওসি। তাদের মতে, থানায় যে কোন ব্যক্তি গেলে তাকে সম্মানের সাথে বসিয়ে মনোযোগ সহকারে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়াবলি শুনে জরুরী পরামর্শ এবং পদক্ষেপ নেন। কেউ তার কোতোয়ালী মডেল থানার ওসির রুম থেকে মন খারাপ বা কষ্ট পেয়ে বের হয়েছেন এমন উদাহরণ নেই বললেই চলে।