ময়মনসিংহে কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপুর্ণ পরিবেশ ও বিজয়া দশমির মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জন সমাপ্তি হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় কাচারি ঘাট (বিসর্জন ঘাট) দিয়ে বুধবার প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। বিকালে বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে পর্যায়ক্রমে প্রতিমা বিসর্জ্জন শুরু হয়।
প্রতিমা বিসর্জ্জনের শুরু থেকে বিসর্জন মঞ্চে বসে সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক ও পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।
প্রতিমা বিসর্জ্জনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, পূজারী ও ভক্তবৃন্দের খোজ খবর নিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বিসর্জনঘাটে উপস্থিত হন এবং শান্তিপুর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জ্জন হওয়ায় আইন শৃংখলা বাহিনী, সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসিফ হোসেন ডন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ন সচিব) ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি, শাহীনুল ইসলাম ফকির, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বিকাশ রায়, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রাখাল চন্দ্র সরকার, শংকর সাহা, এডভোকেট তপন দে সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সন্ধ্যায় ভক্ত, পূজারী ও অনুসারীদের বিসর্জনঘাট পর্যবেক্ষন করতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের দীর্ঘ পথ নৌকাযোগে পর্যবেক্ষণ করেন। অপরদিকে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের নাশকতা, গোলযোগ ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কোতোয়ালি পুলিশ প্রতিটি মন্ডপ ও মন্দিরে বাড়তি নিরাপত্তার উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে মন্ডপ, মন্দির থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন অলিগলি, প্রতিমা নেয়ার রাস্তাসহ বিসর্জনঘাট পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ভিডিও ধারণ করেন। এছাড়াও লাগানো হয় বিভিন্ন মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা। একই সাথে প্রতিমা বিসর্জনে নেয়ার সুবিধা নিশ্চিতে ট্রাফিক বিভাগ কতক সড়কে যান চলাচল সীমিত করে। ফলে কোন ধরনের অঘটন ছাড়াই সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ন পরিবেশে বিসর্জন সমাপ্তি হয়েছে।