গত ইং-২১/০১/২০২৩ খ্রিঃ রাত অনুমান ২০:০০ ঘটিকায় তারাকান্দা থানাধীন বালিখা গ্রামের ভিকটিম গোলাপ হোসেন এর বসত বাড়ীর উত্তর পাশে জনৈক আব্দুল মান্নার এর মালিকানাধীন পুকুরের উত্তর পাড় সংলগ্ন গোলাপ হোসেনের সেচ মটর পাম্প হইতে আসামীর নিজ জমিতে পানি দেওয়ার জন্য যায়। ভিকটিম গোলাপ হোসেন এর নিকট আসামীর নিজ জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বলিলে ভিকটিম গোলাপ হোসেন পানি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আসামী মোঃ হারুন অর রশিদ (৫০) ক্ষিপ্ত হইয়া ঘটনাস্থলে সেচ মটর পাম্প এর পাশে থাকা একটি বাশের লাঠি দিয়া ভিকটিমের মাথায় আঘাত করে। ভিকটিম গোলাপ হোসেন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করে। কিছুক্ষণ পর ভিকটিমের বড় ভাই জমিতে পানি দিতে গিয়ে তাহার ভাইয়ের লাশ দেখতে পাইয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।
এই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মেয়ে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তারাকান্দা থানা পুলিশ মামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করে ঘটনাটি অধিক গুরুত্ব বিবেচনা করিয়া পেশাদারিত্বের সহিত তদন্ত করে মামলার রহস্য উদঘাটন করে। অপরদিকে আসামী হারুন অর রশিদ গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন পলাতক থাকে। উল্লিখিত আসামীকে ইং-২৬/০২/২০২৩ খ্রিঃ সময় রাত ০১:৪৫ ঘটিকায় ময়মনসিংহ কোতয়ালী মডেল থানাধীন ভাবখালী এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়।
আসামীকে গ্রেফতার পরবর্তী প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীর দেওয়া তথ্যমতে আসামীকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করিয়া তারাকান্দা থানাধীন বালিখা ইউপির বালিখা মধ্যেপাড়া সাকিনের জনৈক আব্দুল মান্নার এর মালিকানাধীন পুকুরের উত্তর পাড় হইতে আসামীর নিজ হাতে বাহির করিয়া দেওয়া মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বাঁশের লাঠি যাহার দৈর্ঘ্য ২২১ সেমি উদ্ধারপুর্বক আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়। অতঃপর আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে আসামী ফৌজিদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
অসংখ্য ধন্যবাদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রায়হানুর রহমান ও তার টিমকে, যারা দীর্ঘ এক মাস দিনরাত পরিশ্রম করে সফলতা দেখিয়েছে।