সুনামগঞ্জ দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা টাঙ্গুয়ার হাওরের রাজারদাইড় এখন পানকৌড়ির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পর্যন্ত ঝাঁকে ঝাঁকে পানকৌড়ির ওড়াউড়ি ও কল-কাকলিতে মুখরিত থাকে পুরো এলাকা।পাখিদের কর্মব্যস্ত ও কিচিরমিচির শব্দে আনন্দ পান হাওরে ঘুরতে আসা প্রকৃতিপ্রেমিরা।দাইড়ের পাশেই রয়েছে সুবিশাল হিজল করচের বাগান,খাল-বিল,বেলা বাড়ার সাথে সাথে দল বেঁধে খালবিলে খাবারের সন্ধ্যানে যায় পানকৌড়ি।কিছুক্ষণ পর খাবার খেয়ে আবার ছলে আসে রাজারদাইড় এর হিজল বাগানে।
স্থানীয়রা জানান পূর্বে পানকৌড়ির দল টাঙ্গুয়ার হাওরের ছোটকাট কান্দায় বিভিন্ন গাছে দলবেঁধে আশ্রয় নিত কিন্তু সেখানে পাখি শিকারিদের অত্যাচারে,নিরাপদে থাকতে সেখান থেকে সরে গিয়ে পাখিগুলো আশ্রয় নেয় টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ-টাওয়ার সংলগ্ন রাজারদাইড় এলাকার হিজল বাগানে। নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে এখানে প্রজনন শুরু করে পাখিগুলো।
ঢাকা হতে ঘুরতে আসা পর্যটক বেলায়েত হোসেন বলেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে ওয়াচ-টাওয়ার হতে হাটতে হাটতে হাওরের রাজারদাইড় নামক এলাকায় গিয়ে হিজল বাগানে পানকৌড়িদের ওড়াউড়ি ও কিচিরমিচির শব্দ ভালই লাগলো, এই পাখিগুলোর নিরাপদ রাখলে ওদের নিরাপদ প্রজনন হত।
স্থানীয় জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা শিহাব বিন জাহাঙ্গীর বলেন এই পানকৌড়ি গুলো বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজারদাইড় হিজল বাগানে আশ্রয় নিয়েছে,এখানে নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে প্রজনন শুরু করেছে। তবে মাঝেমধ্যে কিছু জেলেরা ওদের ডিস্টার্ব করছে।