স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ। আসছে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিভিন্ন সড়ক ও বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শন করেছেন। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাটগুদাম ব্রীজ, শম্ভুগঞ্জ বাজার, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডসহ যানজট নিরসনে একাধিক সড়ক পরিদর্শন করেন।
আসছে ঈদুল ফিতরে কর্মস্থল থেকে ঘরমুখো মানুষজন যাতে নিরাপদে নির্ধারিত সময়ে শান্তিপুর্ণ পরিবেশে গন্তব্যে পৌছতে পারে সেই লক্ষে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। এ লক্ষে ঈদের আগে সিটি এলাকাসহ সকল হাইওয়ে সড়ক মেরামত, সংস্কার, মাসকান্দা বাসটার্মিনাল সংস্কার এবং ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রীবাহি বাস চলাচল বন্ধ করা, চরপাড়া মোড় থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড অপসারণ করার মত গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। শনিবার সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এ সব এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুর রশিদ, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ডিবির ওসি সফিকুল ইসলাম, জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা, মহাসচিব সোমনাথ সাহা, মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন চানুসহ অন্যান্য সাথে ছিলেন। সবশেষে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে শালবন নামক বাস চলাচল বন্ধ এবং এ সকল বাস মাসকান্দা বাস টার্মিনাল থেকে চলাচল নিশ্চিত করতে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস টার্মিনালের পরিসর বৃদ্ধি করা হবে। এ জন্য মাসকান্দা বাস টার্মিনালের পুর্বাংশকে ভরাটসহ যানবাহন চলাচল ও রাখার উপযোগী করে তোলা হবে। এ জন্য সিটি মেয়র ৫ সদস্যেও কমিটি বসে করণীয় নির্ধারণের ঘোষনা দেন। আগামী দু’একদিনের মধ্যে এই কমিটির রুপরেখা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে সংস্কার কাজ করা হবে মেয়র ঘোষণা দেন। এছাড়া হাইওয়ে সড়কের শম্ভুগঞ্জ বাজার দ্রুত সংস্কার করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে বাজারদর পরিস্থিতি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মেছুয়া বাজারের বিভিন্ন মহল পরিদর্শন করেন। এ সময় ব্রয়লার মুরগীর দাম কিছুটা অসামঞ্জস্যপুর্ণ পাওয়ায় তাদেরকে সতর্ক করা হয় এবং পরবর্তী কোন ক্রটি পাওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমাণা করার ঘোষণা দেন।