গত ইং ১৩ জুলাই মজুরির টাকা নিয়ে দ্বন্দে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানার কমলাপুর গ্রামে ০১জন হত্যার ঘটনা ফুলবাড়ীয়া থানা এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এর পরপরই র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ছায়া তদন্ত এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের জোর তৎপরতা শুরু করে।
পরবর্তীতে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে পলাতক আসামীর সুনির্দিষ্ট অবস্থান নির্ণয়ের ভিত্তিতে এনামুল হক হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ তারা মিয়া (৫২), গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার টঙ্গী থানাধীন এলাকা হতে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ কর্তৃক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, মামলার এজাহার পর্যালোচনা এবং র্যাব কর্তৃক ছায়া তদন্তের মাধ্যমে জানা যায় এনামুল হকের ভাতিজির জামাই মামুন মিয়া ও একই এলাকার তারা মিয়ার লোকজনের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ৫০ হাজার টাকায় একটি নির্মাণ কাজের বায়না করেন মামুন। বায়নার টাকা তারা মিয়ার লোকজন নিলেও তারা কাজে যায় না। ওই টাকা নিয়ে ১৩ জুলাই মধ্যরাতে মামুন মিয়া এবং তারা মিয়ার লোকজনের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে এনামুল হককে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে স্বজনরা রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে এনামুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনামুল হক এর মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে ভিকটিমের সহোদর ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী তারা মিয়াসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ীয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-১৩ জুলাই ২২খ্রি, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/ ৩০৭/৩০২/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে ফুলবাড়ীয়া থানায় হস্তান্তরের করা হয়।