উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন নেতাদের অতীত কর্মকান্ড প্রকাশ পেতে শুরু হয়েছে। অনেক নেতা কর্মীরা কোন কোন প্রার্থীর নাম শুনেই তেলে বেগুনে জ্বলে ঊঠছেন। আদর্শহীন রাজনীতি কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীরা তাকে উপজেলার নেতা বানালে মূল দলের উপর ঘৃনায় অনেকে দলছুট হতে পারেন বলে বেশ কয়েকজন নেতা এমন মন্তব্য করেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা করে বিদ্রোহী আনারশের প্রার্থী বদরুল আলম প্রদীপের অনুকুলে প্রচারানা করেছেন। দলীয় সমর্থন ও নেতাকর্মীদের কোনরূপ আস্তা তার উপর নাথাকায় সাধারন জনগন ও নেতাকর্মীরা নৌকাকে বিজয়ের মালা উপহার দেন। তিনি সাবেক এমপি ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য বিষায়ক সম্পাদক আলহাজ মোঃ আব্দুছ ছাত্তারকে সংবধনা দিতে দেননি। স্থানীয় নেতাকর্মীরা হাজী রফিকুল ইসলাম বুলবুলকে প্রতিহত ও বর্জন করে সংবধনা দিতে চাইলে প্রশাসন তখন ১৪৪ ধারা জারী করেন। ঐ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এছাড়াও হাজী রফিকুল ইসলাম বুলবুল ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান।
অপরদিকে দেখাযায় ঈশ্বরগঞ্জ শহর নানা পোস্টার ব্যানারে শোভা পাচ্ছে। প্রার্থীদের সকল গেইটে, পোস্টারে, ব্যানারে ও ফেস্টুনে অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে অগ্নী কন্যা মতিয়া চৌধুরীর ছবি প্রকাশ ও সম্মান দেখালেও একমাত্র উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলাম বুলবুল তার গেইট, ফেস্টুন ও ব্যানারে অগ্নীকন্যা সাবেক কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর ছবি ও নাম রাখেননি। এমন অমর্যদায় সাধারন নেতাকর্মীরা ফুসে উঠেছে।
হাজী রফিকুল ইসলাম বুলবুল এবার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। তিনি জানান অনেকে তার বিরোধীতা করছেন। তবে তিনি বরাবরই নৌকার পক্ষে ছিলেন ও আছেন। প্রতিপক্ষ ও নেতাকর্মীদের এমন প্রচারনায় তার কিছু আসে যায়না।