প্রথমে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে ময়মনসিংহের পরানগঞ্জ ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বা সাধারণ বাসীরা যাকে নায়েব হিসেবে দেখে থাকেন তেমনি একজন নায়েব সাহেব শফিকুল ইসলাম।
সাংবাদিক অনুসন্ধানি রিপোর্টে উল্লেখিত, নায়েব শফিকুল ইসলামের এসি আর বিপদ জনক বলে জানা গেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে , শফিকুল ইসলাম যখন ফুলপুর উপজেলার রহিমগন্জ ইউনিয়নে নায়েব হিসেবে কর্মরত ছিলেন তখন ভূমি অফিসের নামখারিজ-খাজনা সহ অত্যন্ত স্পর্শকাতর দলিল-দস্তাবেজ নিরীক্ষণ-বিতরনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা বা নায়েব শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, কর্তব্যরত সাংবাদিকদের সাথে অভদ্র-অসদাচরন ছিলো নায়েব শফিকুল ইসলামের তার কাজের একটা অংশ।
অভিযোগে জানা গেছে, সাংবাদিকরা তাদের কর্তব্য কাজে শফিকুল ইসলামের কাছে গেলেই তিনি স্হানীয় আওয়ামীলীগের নেতা- কর্মীদের কাছে বিচার দিয়ে বলতেন সাংবাদিকদের কারণেই আপনাদের( আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের ) সন্তষ্ট করতে পারি না। অন্যদিকে শফিকুল ইসলাম রহিমগঞ্জ ভূমি অফিসটি তছনছ করে ফোকলা বানিয়ে দেওয়ার অশুভ পায়তাড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন আর ওখান থেকেই শফিকুল ইসলাম লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন!
জানা গেছে, তখন সরকার ছিলো এক নায়ক তান্ত্রিক ফলে সরকারের রাজস্বের টাকাটা লুট করেছে শফিকুল ইসলাম সিন্ডিকেট।
ফুলপুরের রহিমগন্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসটিকে বানিয়েছিলেন তিনি ঘুষ বাণিজ্যের কারখানা।
জানা গেছে, তার অবিরাম দূর্ণীতি আর ঘুষ বাণিজ্যের খবর চাউর হয়ে গেলে তাকে ময়মনসিংহ সদরের পরানগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলী করা হয়। জানা গেছে, বছরের পর বছর পেড়িয়ে গেলেও শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।বরং তাকে পুনরায় বদলি করা হয়েছে ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নে,
স্হানীয় বাসীরা নায়েব শফিকুল ইসলামের প্রতি তির্যক মন্তব্য করে জানান, তিনি ভূমি অফিসের সরকারি নথিপত্র যাচাই-বাছাই আর কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তারই এক শিষ্যতূল্য অর্বাচীন রাজিব নামে এক যুবককে। এমনকি নিজেই দালাল চক্র তৈরি করে সেই দালালদের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সুশীল সমাজ উদ্বেগের সাথে সাংবাদিকদের জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর দলিল গুলো অনভিপ্রেত ঘাটা ঘাটির বিষয়টি মারাত্নক প্রশ্নবিদ্ধ। এতে ময়মনসিংহের ভূমি বিষয়ক জটিলতা আরও আশংকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে অবিলম্বে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আইনানুগ শাস্তি প্রদান জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ একটা কথা খুব স্পষ্ট সাধারণ জনগন যে জিনিসটি আঁকড়ে ধরে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেচে থাকতে চায় সেটা হলো তাদের স্বচ্ছ সেবা এবং স্বচ্ছ দলিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় এই ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা বা নায়েব শফিকুল ইসলাম দূর্ণীতি পরায়ন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত! তিনি গ্রামের সাধারন মানুষদের স্বচ্ছ সেবা দিতে পারছেন না! এ বিষয়ে জানতে চাইলে নায়েব শফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এই নায়েবের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল।