ময়মনসিংহে পরানগঞ্জে বালু বোঝাই লড়ি গাড়িল নিচে চাপা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে পরানগঞ্জ ইউনিয়নের ছাতিয়নতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম সিরাজ উদ্দিন (৪০)। তিনি তারাকান্দা উপজেলার বালিখাঁ ইউনিয়নের ঢাকিরকান্দা গ্রামের রউসুল মিয়ার বড় ছেলে। সিরাজ উদ্দিন পেশায় ছিলেন ঝাল মুড়ি বিক্রেতা।
সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে পরানগঞ্জ এলাকা থেকে বালু বোঝাই লড়ি গাড়ি বালিখাঁ যাওয়ার পথে নিচে পরে মর্মাহত আহত হয়। সেখান থেকে এলাকাবাসীর সহায়তায় সিরাজকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কোমুদ লাল তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্বজনদের ৫ লাখ টাকা দিয়ে সমঝোতা করেছেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা সজনদের শর্ত দেওয়া হয়েছে মামলা না করার।
মৃত্যুর ব্যাপারে ৫ লাখ টাকায় রফাদফা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকেই এই নিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকায় রফাদফা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ এসব লড়ি গাড়ি বেপরোয়া গতি ও কানফাটা আওয়াজে চলাচলকারী ট্রাক্টরের কারণে গ্রামীণ জনপদে বাড়ছে শব্দ দূষণ। অবৈধ এ যানগুলোর প্রতি স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই বললেই চলে! এসব যানবাহনে নেই কোন বৈধ কাগজপত্র ও রোড পারমিট ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র চাষাবাদের জন্য এসব আমদানি করা হলেও এখন অবৈধভাবে পণ্য পরিবহন কাজে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় এসব যানবাহন চলাচলের কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১৪-১৫ বছর সহ অপ্রাপ্ত বয়সের শিশু-কিশোর। ফলে এসব অবাধে চলাচলের জন্য প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা।