ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে চুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন আব্দুর রশিদের পুত্র খোকন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন রাতে খোকনকে তার ফুফাতো বোন জামাই কেরামত মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে আসে কোনাপাড়া চরে। কিছুক্ষণ পর, কে বা কারা খোকনকে পিছন থেকে চুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। খোকন প্রাণে বাঁচতে দৌড়ালে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় কেরামত পলাতক থাকলেও, তার সহযোগী লাল মিয়া আটক হলেও রহস্যজনকভাবে খোকনের পিতা আব্দুর রশিদ তাকে ছেড়ে দেন। পরে লাল মিয়া লাপাত্তা হয়ে যায়।
জানা গেছে, খোকনের পিতা আব্দুর রশিদের সাথে তার চাচাতো ভাই আবু সাঈদ, ফখরুল ও আমিরুলসহ সাইদ গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। খোকনের অভিযোগ, সাইদ গংরা তার পিতার প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে। অন্যদিকে, সাইদ গংদের দাবি, আব্দুর রশিদ খোকনকে মেরে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন।
এদিকে, ঘটনার পর খোকনের পিতা আব্দুর রশিদ থানায় অভিযোগ না দেয়ায় স্থানীয়রা বিস্মিত। তবে খোকন নিজে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তার চাচা আবু সাঈদ গংদের বিরুদ্ধে, কারণ তাদের দখলে রয়েছে আব্দুর রশিদের জমি।
খোকন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ না আসলেও, তদন্ত চলছে এবং দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনায় সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের নেক্কারজনক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।