ঈশ্বরগঞ্জে একটি পূর্বের মামলায় সাক্ষ্য দেয়ায় একই গ্রামের কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুর ১২টায় স্থানীয় কাকনহাটি গ্রামের জুয়েল মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি নিজ বাড়িতে বিষয়টি নিয়ে সংবাদসম্মেলন করেছেন।
সংবাদসম্মেলনে জুয়েল মাহমুদ উল্লেখ করেন, গত বছরের ১৫ মার্চ কাকনহাটি গ্রামের আবুল বাশার ও আবুল খায়েরকে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের আঃ আজিজ ও তার পরিবারের লোকজন মারধর করে। মারধরের ঘটনায় আঃ আজিজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। উক্ত মামলায় জুয়েল মাহমুদের ভাই শহিদুল ইসলাম ফকির ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী দেন। এ ঘটনার জের ধরেই আঃ আজিজেরর স্ত্রী শরিফা আক্তার বাদি হয়ে জুয়েল মাহমুদ, তার ভাই ও ভাতিজাকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। (মামলা নং-০৮, তারিখ ০৬-০৫-২০২৫)
অভিযোগে আরও বলা হয়, শরিফা আক্তার মামলায় যেসব ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের কয়েকজন দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় অনুপস্থিত, এবং এজাহারে ঘটনার যে তারিখ দেখানো হয়েছে, ওই তারিখে মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। পূর্বের অন্যদের সাথে একটি মারামারির ঘটনায় আহত ছবি দেখিয়ে থানায় মামলাটি রের্কট করা হয়েছে। মামলার এজহারে যে সব ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। ঘটনাস্থলে সিসিটিভি থাকলেও বাদি কোনো ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করতে পারেনি। মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করেন অভিযোগকারী। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা মামলার অবসানের দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে মামলার বাদি শরিফা আক্তার বলেন, তার স্বামীকে সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে মারপিট করা হয়েছে। হঠাৎ আক্রমন করে মারপিট করে ৫নমিনিটের মধ্যেই আসামীরা চলে যায় সে কারণে এলাকাবাসী কিছুই টের পায়নি