ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া ইউনিয়নের পাড়াইলে বালু ট্রাকের হেলপার আসাদ মিয়া হত্যাকান্ডের মুলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নয়ন মিয়া, আশরাফুল ইসলাম ও রাজাক মেম্বার। হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোতোয়ালী পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে পৃথক এলাকা থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে। বুধবার তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, পাড়াইল গ্রামের বালুর ট্রাকের হেলপার আসাদ মিয়ার সাথে গ্রেফতারকৃত নয়ন মিয়ার সাথে প্রায় দুই মাস আগে কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চকনজু গ্রামের আঃ মোতালেবের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ট্রাকের হেলপার আসাদ মিয়াকে গত ৮ আগষ্ট রাতে কথা আছে বলে ফোন করে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে পাড়াইল গ্রামের আঃ রাজ্জাক মেম্বারের বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে নিয়ে চক্রটি আসাদ মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপুর্যপুরী আঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে পালিয়ে যায়। পথচারী ও স্থানীয়দের সহায়তায় মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরে ৮ নং ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং- ৪১, তাং ৯/৮/২০২২ ইং দায়ের করেন। কোতোয়ালী মডেল থানার দায়িত্বশীল ও মানবিক ওসি শাহ কামাল আকন্দ ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে। কোতোয়ালীর ওসির ঘোষনাকে বাস্তবে রুপ দিতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামেন এসআই আনোয়ার হোসেন, নিরুপম নাগ, মিনহাজ উদ্দিন, এএসআই সুজনসহ একটি টিম। হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই টানা অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার মুলহোতা নয়ন মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। ওসি শাহ কামাল বলেন, মুলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারনামীয়রা মামলার অপর আসামী সহ অজ্ঞাতনামাদের সহায়তায় আসাদ মিয়াকে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যপুরী আঘাত করে হত্যার বিষযয়ে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ন্যায় বিচার, মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত চাকু উদ্ধারে আসামীদের পুলিশ হেফাজতে এনে নিবিড় ও গভীর ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আালতে পাঠানো হয়েছে।