ময়মনসিংহ শহরের সাং-চরপাড়া প্রাইমারী স্কুল রোড এর দিপু প্রতারনার মাধ্যমে বহু বিবাহ করেছেন। আবার তাদেরকে কৌশলে তালাক দিয়েছেন। দিপু বিয়ে করার জন্য একাধিক জাতীয় পরিচয় পত্র বানিয়েছেন। ফলে প্রতারিত নারীরা তার টিক্কির নাগাল আর পায়না। ঠিকানাহীন ভাবে নিতে পারেনা আইনগত ব্যবস্থাও।
দিপু মিয়া সাথে ৮ মাস পূর্বে রেজিঃ কাবিন মূলে বিবাহ হয়। বিবাহ হওয়ার রোজিনার বেশ কয়েকদিন সংসার করার একপর্যায়ে রোজিনাকে রেখে দিপু তার বর্তমান ঠিকানা ময়মনসিংহ চলে আসে। এক পর্যায়ে গত ২৮ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ১.৩০ ঘটিকায় রোজিনা তার স্বামী দিপুর বাসার খোঁজ করিয়য়া আসিয়া তার মাকে জিজ্ঞাসা করলে তাদের পরিবারের লোকজন রোজিনাকে অথঘ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ সময় তারা রোজিনাকে মেরে জখম করে।
রোজিনা জানান, দিপু একটার পর একটা বিয়ে করছে আর দিপুর বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছে,, ছোট মেয়ের বয়স ১২ বছর, ছেলে ৫ বছর এই সব রেখে ও একটার পর একটা বিয়ে করে তার পরও নতুন করে জুলাই মাসে ৮/৭/২৪ তারিখে ঢাকায় বিয়ে করে কিছু দিন অবস্থান করে।বিয়ের পর তার কাছে ৫ লাখ টাকা চায় দিতে পারে না বলে, ওই বউকে ফেলে চলে আসে ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ আসার পর নভেম্বর মাসে ৬/১১/২৪ তারিখে আবার বিয়ে করে একটা বয়স্ক মহিলাকে ২৬ আর ২৫ বছর ছেলে আর মেয়ে সহ একটা মহিলাকে বিয়ে করেছে। টাকার লোভে এই মহিলাকে বিয়ে করে অনেকে দাবী করেন।
দিপুর এলাকার একাধিক মহিলা পুরুষ জানায়, দিপু বহু বিবাহ করেছে আর ছেড়েছে।
দিপু ৩ মাস পূর্বে ইয়াসমীনকে বিবাহ করে। গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকার সময় দিপুর মোবাইল- ০১৮০৪১১৪৪১৩, ০১৪০৩৪৪৯৯৪৬ ও ০১৯৩৭৬৯৩৯৮৭ নাম্বার থেকে মোবাইল নাম্বারে ফোন করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। রোজিনাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করে।
রোজিনা জানান, চক্রটি তার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে। তাদের ভয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। এ ব্যপারে কোতোয়ালী থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।