ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ( সিআইপি ) মোঃ আমিনুল হক শামীমের কণ্যা মাহজাবীন হক মাশার চোখে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বুধবার ১০ আগষ্ট ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মাশার ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সামিউল হক সাফা ডাঃ দীপক নাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে।
ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ( সিআইপি ) মোঃ আমিনুল হক শামীমের কণ্যা মাহজাবীন হক মাশার চোখের সমস্যা হলে গত জুন /২২ মাসে দীন মোঃ চক্ষু হাসপাতাল এন্ড রিসার্স সেন্টার সোবানবাগ, ঢাকা চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাক্তার দীপক নাগকে তাঁর চোখ দেখান। ডাক্তার চোখ পরিক্ষার পর তাকে লেজার লাগানোর পরমর্শ দেন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাশার চোখে লেজার লাগান সম্পূর্ন হয় । এরপর শুরু হয় চোখে অন্ধকার দেখা।
মাশাকে দ্রুত জাতীয় চক্ষু ইন্সটিটিউটে নেয়া হলে ডাক্তারগন বোর্ড বসিয়ে মাশার চোখ পরিক্ষা করেন। বোর্ডের সদস্যগন বলেন চোখে লেজার স্হাপনের কারনে ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।
মাশার পিতা মোঃ আমিনুল হক শামীম উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত নিয়ে যান থাইল্যান্ডের বামরুন গ্র্যাড হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চক্ষু ডাক্তারগন চোখের পরিক্ষা করে জানান ভুল চিকিৎসার কারণে তার রেটিনার ৩৩ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে।
ভুল চিকিৎসার কারণে বুধবার ১০ আগষ্ট দুপুরে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মাশার ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সামিউল হক সাফা ডাঃ দীপক নাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালী থানাকে এফআইআর ভুক্ত করার আদেশ দেন। মামলাটি পরিচালনা করেন বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী এএইচএম খালেকুজ্জামান, এডঃ পীযুষ কান্তি সরকার ও এডঃ এবিএম নুরুজামান খোকন। কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, আমরা মামলাটি আদালতের মাধ্যমে হাতে পেয়েছি। জরুরী ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।