সাদ ইবনে কবির রাফী । বয়স ২০। তার বাবার নাম হুমুয়ুন কবির। ১৫ নং মাসকান্দা বসবাস করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী সমিতির সামনে দোকান আছে। ছেলেটির প্রতারনার শিকার হয়েছে হালুয়াঘাটের এক মেয়ে। মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দেড় বছর গাজীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করেছে। পবিত্র কোরআন শরিফে দুজনেই হাত রেখে বিয়ে করেছিল মেয়েটিকে। মেয়েটি কাবিনের দাবী করায় বেজেছে খটকা। কাবিন করবেনা। এমন কথা বলে গাজীপুরের ভাড়া বাসা থেকে পালিয়ে আসে। বন্ধ করে দেয় সকল যোগাযোগ। মেয়েটি কাবিনের দাবী নিয়ে তাদের রাফীর মাসকান্দার বাসায় এসেছে। তাকে তারিয়ে দেয় বাসা থেকে। পরিবারের দাবী ছেলে বাসায় নেই। ঘটনার শুরু ২ বছর আগে। দেখা,কথা আর ফেসবুকে চ্যাটিং। দেলের দেখানো স্বপ্নে ও আশ্বাসে জমে উঠে প্রেম। দেড় বছর আগে মেয়ে ও রাফী পবিত্র কোরআন শরীফে হাত রেখে বিবাহ করেন।
পরে গাজীপুরের জয়দেব পুরে ধান গবেষনা অফিসের সামনে বায়জিদ সাহেবের বাসা (মাসুমা ভিলা) ভাড়া নেন। মাসে ২/৩ বার সেখানে যেত। স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে থাকতো। মেয়েটি সেখানে চাকুরী করেন। রাফী ও তার ভাই দোকানে মালামাল উঠানোর কথা বলে ও রাফীর বাবা ঈদে কোরবানী দেয়ার কথা বলে দফায় দফায় মেয়েটির কাছ থেকে ৮/৯ লাখ টাকা নিয়েছে। এখন কাবিনের কথা বলতেই রাফী পালিয়ে এসেছে। মেয়েটির সাথে আর যোগাযোগ রাখছেনা। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষন করা মেয়েটি এখন কোথায় যাবে। রাফীর বাসার আশেপাশের লোকজনের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছে। জানিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে। এখনো কোন প্রতিকার পায়নি। এ ব্যাপারে রাফীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।