ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান—একটি মসজিদের পাশের কুটিতে দীর্ঘদিন ধরে কোনো সড়ক বাতি স্থাপন না হওয়ায় এলাকায় জনদুর্ভোগ ও স্থানীয় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের সচিব (উপ-সচিব) সুমনা আল মজিদের আশ্বাসে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে একটি লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, পালপাড়া এলাকার বেশ কিছু কুটিতে ইতোমধ্যে সড়ক বাতি স্থাপন করা হলেও একাধিক কুটি এখনো অন্ধকারে রয়েছে, বিশেষ করে স্থানীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদের পাশের কুটিটি দীর্ঘদিন ধরে আলোবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অন্ধকারের কারণে পথচারী, নামাজ আদায় করতে আসা মুসুল্লি ও আশ পাশের বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। রাতের বেলায় এই অন্ধকার জননিরাপত্তা, নারী ও শিশুদের চলাচল এবং ধর্মীয় পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও তারা জানান। ২১ মে বুধবার দুপুরে সংবাদকর্মী শেখ মামুনুর রশীদ মামুনের পক্ষ থেকে দাখিল করা(অনলাইন,ওয়াটসআপে) আবেদনে জননিরাপত্তা ও ধর্মীয় মর্যাদার কথা তুলে ধরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিটি কর্পোরেশনের সচিব (উপ-সচিব) সুমনা আল মজিদ জানান, বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে। তার এই আশ্বাসে এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা বলছেন, একজন দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নেওয়ায় আশাবাদী যে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। স্থানীয় একজন প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “আমরা তো আর কিছু চাই না, শুধু চাই আমাদের এলাকার মসজিদের পাশেও যেন একটি বাতি জ্বলে। এতে আমরা নিরাপদে চলাচল করতে পারব, নামাজ পড়তে আসা কারো যেন ভয়ের মধ্যে না পড়তে হয়।”
উল্লেখ্য, নগর জীবনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা যেমন নাগরিক নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি, তেমনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নও একটি সভ্য নগরের পরিচায়ক। সিটি কর্পোরেশন দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এই ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার একটি টেকসই সমাধান সম্ভব বলেই মনে করছেন এলাকাবাসী।