স্টাফ রিপোর্টারঃ পদ ছোট কিন্তু স্যামারী করে অনেক বড় বড়! ধরা পড়েছে পুলিশের বড় কর্তাদের কাছে। শাস্তিও হয়েছে। তবুও তার প্রিয় ভাজনকে খুশি রাখতে জুড়ি নেই তার। কর্তাকে খুশি করেই করে তার স্যামারী বানিজ্য। এরা সাধারনত পুলিশের ক্লিন ইমেজ নস্ট করেই নিজের বা কর্তাদের আখের গুছিয়ে দেয়। পুলিশের বৃহত একটি সংস্থার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে তারা হয় ধনবান বা লাভবান। দুর্নীতিগ্রস্থ কোন পুলিশ অফিসারকে কব্জা করেই, তারা মাঠে নেমে যায়। সুযোগ পেলেই ঘুরে বেড়ান মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ি কিংবা কোন চাঁদাবাজদের আস্তানায়। ময়মনসিংহে এমন সমালোচিত একজন পুলিশের সদস্য ফের রেজ্ঞে বদলী হয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন যোগদান করেননি, তবে তিনি ময়মনসিংহ রেজ্ঞ ডিআইজি বাসায় ফুটফরমায়েস ও গাড়ী ঠিকঠাক করছেন। মেয়ের পরীক্ষা শেষ হলে তিনি রেজ্ঞে যোগদান করবেন। তার ময়মনসিংহে যোগদানের খবর পৌছে গেছে জেলাসহ আন্তজেলা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে। তারা সতেজভাব পেয়েছে। উৎফুল্যও তারা। কারন মনিরুল ইসলাম তাদের পূর্ব পরিচিত। পুলিশের কং বিপি নং ৭৯৯৯০১৭৮৭৯ মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি ডিআইজি স্যারের সাথেই থাকবেন। বাসার কাজকর্ম করবেন গাড়ি ঠিকঠাক করবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের বিপি নং ৭৯৯৯০১৭৮৭৯ মোঃ মনিরুল ইসলাম এর আগেও ময়মনসিংহে চাকুরী করে গেছেন। এ জেলা শহরে তিনি ব্যপক সমালোচিত। পুলিশের দরবারে তার বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগের স্তুপ। পুলিশী তদন্তে ধরাও পড়েছে। শাস্তি হয়েছে। প্রচার আছে তিনি ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থায় ছিলেন “ ৩০ দিনের ওসি”! তৎসময়ে জেলা গোয়েন্দা সংস্থায় ওসি মোখলেছুর রহমান দ্বায়িত্ব পালন করতেন। তখন কোন দারোগা, সহকারি দারোগা ও সিপাইরা মনিরুলের কথা ছাড়া কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারতোনা! তিনিই ছিলেন ওসি মোখলেছুর রহমানের দক্ষিন হস্ত। অভিযোগ রয়েছে সে সময়ে কক্সবাজারের মাদক সম্রাট দীদারকে আটক করে অর্ধলক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করে তাকে ছেড়ে দেন। পরবর্তী সময়ে বিনা মাদকে লোক ধরে মাদক দিয়ে মামলা ঠুকে দিতেন। তবে মনিরুল ইসলাম জানান, এগুলো সত্য নয়। তৎসময়ে জেলা পুলিশের মাঝে ঘটনাটি ব্যপক সমালোচনা হয়েছিল মনিরুলের। এর পরই তার বিরুদ্ধে হয়ে যায় একটি লিখিত অভিযোগ। যা গৌরীপুর সার্কেল অফিস স্বারক নং- গৌ/সা/১৮ তারিখ ২৩-১২-২০১৮ইং।
অভিযোগে উল্লেখ ছিলো, গত ১৮ আগষ্ট/২০১৮ ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে গফরগাও থানাধীন বরবড়া গ্রামে ওসি’র রানার হিসেবে মনিরুল ইসলাম যান। সন্ধায় ইয়াছিন আহম্মদ ও সামছুল আলমকে প্রচুর ইয়াবাসহ একটি প্রাইভেটকার আটক করেন। পরে মোঃ মনিরুল ইসলাম মোটা অংকের টাকা নিয়ে শামছুল আলমকে ছেড়ে দেন। কথায় আছেনা “চোরের দশ দিন, গেরোস্তের একদিন” এমন বাস্তবতা পুলিশের সামনে এসে দাড়ায়। তদন্তে প্রমানিত হয়। ছাড়ফাড় হয় অনেকটা। শাস্তী হয় মোঃ মনিরুল ইসলামের। এগুলো এখন নিস্পত্তি হয়েছে বলে মনিরুল ইসলাম দাবী করে। সেই বিতর্কিত মনিরুল ইসলাম বদলী হয়েছেন ময়মনসিংহ রেজ্ঞে। রেজ্ঞ এর আরও জানান, এনামে এখনো কেহ যোগদান করেননি। মনিরুল ইসলাম জানান, এখন ছুটিকালিন সময়ে ময়মনসিংহ রেজ্ঞ ডিআইজির বাসায় ফুটফরময়েস ও গাড়ি ঠিকঠাকের কাজ করছেন। ছুটির পরে যোগদান করবেন। তিনি আরো বলেন, স্যারের সাথেই থাকবেন।