স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর অভিযানে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে মামলার তিনদিনের মধ্যে উদ্ধার করেছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানা উচাখিলা থেকে মঙ্গলবার সকালে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম ভিকটিম মিতু আক্তার। সে উচাখিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ঐ স্কুল ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার পথে রিমন মিয়া ওরফে ইব্রাহিম তাকে উত্যক্ত করাসহ বিয়ের প্রস্তাব দিত। স্কুল ছাত্রীর পিতা রজব আলী বিষয়টি জানতে পেরে ইব্রাহিমের কাছে তার মেয়েকে বিবাহ দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এতে ইব্রাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল ছাত্রীকে ক্ষতি সাধনের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন গত ২২ আগষ্ট ঐ ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় উচাখিলা হাই স্কুলের সামনের রাস্তায় পৌছামাত্র পূর্ব হতে উৎপেতে থাকা ইব্রাহিম অন্যান্যদেও সহযোগীতায় ভিকটিম মিতু আক্তারকে ফুসলিয়ে সিএনজিতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। স্কুল ছুটির পর সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন। পরের দিন ইব্রাহিম তার মোবাইল থেকে কল করে জানায় মিতু আক্তার তার সাথে আছে। উক্ত ঘটনায় মিতু আক্তারের বাবা রজব আলী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ঈশ্বরগঞ্জ থানার নারী ও শিশু দরখাস্ত নং-১৫০/২০২২,ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, মামলাটির তদন্তভার প্রাপ্ত হয়ে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ময়মনসিংহ ইউনিট ইনচার্জ ( এসপি) হিসেবে আমার সার্বিক সহযোগীতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজিমুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিতু আক্তারের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক মঙ্গলবার ঈশ্বরগঞ্জ থানার উচাখিলা ইব্রাহিমের ভাড়া বাসা তাকে উদ্ধার করে। তিনি বলেন, গত ২৭ আগষ্ট মামলাটির তদন্তভার পিবিআইকে প্রদান করা হলে পিবিআই কর্তৃক অত্র মামলার ভিকটিম মিতু আক্তারকে উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তিন দিনের মধ্যে উদ্ধার করা হয়। মিতুকে আদালতে পাঠানো হলে সে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।