1. admin@mymensingherkhobor.com : admin :
  2. amin@mymensingherkhobor.com : Amin :
  3. info@mymensingherkhobor.com : Aziz :
  4. editor@mymensingherkhobor.com : Editor :
  5. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
কোতোয়ালী পুলিশের উদ্ধার করা মোবাইল বিতরন করলেন ময়মনসিংহের এসপি - দৈনিক ময়মনসিংহের খবর
রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নালিতাবাড়ীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার ময়মনসিংহে কোতোয়ালি পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২ নালিতাবাড়ীতে আজ সমাপ্তি হচ্ছে খ্রীষ্টধর্মের সর্ববৃহৎ তীর্থ অনুষ্ঠান  নালিতাবাড়ীতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে এক বন্যহাতির মৃত্যু ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে ১৩ জন গ্রেফতার ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের অভিযানে ২০৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-২   পরানগঞ্জে বাসার কেয়ারটেকার সুজন মিয়ার মরদেহ বাথরুমে উদ্ধার নালিতাবাড়ীতে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১১

কোতোয়ালী পুলিশের উদ্ধার করা মোবাইল বিতরন করলেন ময়মনসিংহের এসপি

স্টাফ রিপোর্টার ::
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৯২ বার পড়া হয়েছে

বিভাগীয় নগরী ময়মনসিংহে মোবাইল ফোন হারিয়ে প্রতিদিন কোতোয়ালী মডেল থানা ও জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। এছাড়াও পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের উর্দ্বতন কর্মকর্তাগন হারানো মোবাইল উদ্ধারে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দকে তাৎক্ষণিক ফোন করেন। মোবাইল হারানোর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগনের আবেদন সহ উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের সকল নির্দেশনাকে ওসি শাহ কামাল আকন্দ গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কোন কাল বিলম্ব না করে থানায় কর্মরত এএসআই আমির হামজাকে মোবাইল উদ্ধারে নির্দেশ দেন। এএসআই আমির হামজা সকল নির্দেশনাকে গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য প্রযুক্তি মাঠে নামেন। এভাবে গত এক বছর কয়েকদিনের মধ্যে পাচ শত ২৯টি মোবাইল উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলে দিয়েছেন। শনিবার কোতোয়ালী পুলিশের আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভাশেষে উদ্ধারকৃত ২৫ টি মোবাইল মালিকদের হাতে তুলে দেন নবাগত পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।

এর আগে ১২ এপ্রিল ৩৯ তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে কর্মরত ডাঃ আদিল ইফতেখার এর হারানো মোবাইল কোতোয়ালী থানা এএসআই আমির হামজা দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার করেন। তৎ সময়ের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান উদ্ধারকৃত মোবাইলটি মালিকের হাতে তুলে দেম। মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে পুলিশের সময় লেগেছে মাত্র দুইদিন। এভাবে গত এক বছর কয়েকদিনে পাচশত ২৯টি ফোন উদ্ধার করা হয়।

তথ্য মতে, কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে শাহ কামাল আকন্দ পিপি এম (বার) যোগদান করেন এক বছর কয়েকদিন। যোগদানের পর জনগনের মোবাইল হারানো, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধারে একজন এ এস আইকে দায়িত্ব দেন। থানার বিভিন্ন সেবা মুলক কাজের পাশাপাশি তিনি মোবাইল উদ্ধার কাজে বেশীর ভাগ সময় দেন। এই এক বছর কয়েকদিনে এ এসআই আমির হামজা এ পর্যন্ত ৫ শত ২৯ টি মোবাইল উদ্ধার করেন।


নিয়মিত কাজের বাইরে হারানো মোবাইল উদ্ধারের মত ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন পুরস্কারও। অফিসার ইনচর্জ শাহ কামাল আকন্দ যোগদান করার পর এ সেবা ব্যপকভাবে চালো হয়। উপকৃতও হচ্ছে জনগন।
পুলিশ জানায়, আমির হামজা শুধু তার কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকার মোবাইল উদ্ধার করেন না। বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের জন্য তার দ্বারস্থ হন অনেকে। কাউকে হতাশ হতে হয়নি তার কাছে গিয়ে। সাধ্যমতো চেষ্টা করে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাদের মোবাইল উদ্ধার করে দিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় কর্মরত আছেন। আমির হামজা এর আগে ডিআইজি অফিসে কর্মরত ছিলেন। পরে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখায়। কোতোয়ালী মডেল থানায় প্রায় এক বছর ধরে কর্মরত আছেন। এ সময়ের মধ্যেম তিনি পাচ শতাধিক মোবাইল উদ্ধার করে অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দের মাধ্যমে মালিকদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়াও অপরাধ দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরার কাজও করছেন আমির হামজা।


অনেকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা আমিরের চমৎকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি সে পুলিশের বিভিন্ন ডিউটি ও গুরুত্বপূর্ণ অভিযান কাজেও অংশ গ্রহন করে থাকেন। মোবাইল হারানোর জিডি হলেই তার ডাক পড়ে। তিনিও চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্ধারে নেমে পড়েন। উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকেন। কর্মজীবনের প্রায় অনেকটা সময় তিনি সুনামের সাথে কাটিয়েছেন। হারানো মোবাইল উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনটিতে তিনি দু’দিন থেকে শুরু করে দুই মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। শুধু মোবাইল ফোন উদ্ধারই নয়। আমির হামজা বলেন, মোবাইল ফোন উদ্ধারে আমি মোবাইলের দাম বা ব্যক্তির মূল্যায়ন করি না। যত কম দামের মোবাইল হোক বা গরিব রিকশাচালক কিংবা শ্রমিকের হোক সমান গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার করি। কারণ মানুষের অনেক মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গেলে সে ততটা কষ্ট পায় না, “যতটা কষ্ট পায় একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে”। কারণ মোবাইলে অনেকের অনেক স্মৃতি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। যা হারিয়ে গেলে তার অনেক ক্ষতি ও মনে কষ্ট হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি শাহ কামাল আকন্দ যোগদানের পর মোবাইল উদ্ধার সংক্রান্ত কাজ করায় জনগনের কাছে বাড়তি সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রযুক্তির এই সেবা পেয়ে জনগন উপকৃত হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহিনুল ইসলাম ফকির, ওসি শাহ কামাল আকন্দ, বিভিন্ন ফাড়ির ইনচার্জগন সহ থানার সকল অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন। সভায় নবাগত পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD