ময়মনসিংহ নগরীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ও যানজট নিরসনে নবাগত পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত সমুহ বাস্তবায়ন হলে নগরীতে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসবে বলে অনেকেই মনে করেন। এ সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশ সুপার।
সিদ্ধান্তগুলো হলো, পণ্যবাহী পরিবহন (২ টনের ঊর্ধ্বে) ময়মনসিংহ নগর এলাকায় রাত ৯ টা হতে সকাল ৮ টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। এই সময়ের বাইরে কোনভাবেই পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে পারবে না।
সকল ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, অবৈধ হকার/সবজিওয়ালা/ফলওয়ালা/অন্যান্যদের পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।
সিএনজি/অটোরিক্সাতে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো/নামানো যাবে না। চরপাড়ায় ক্লিনিকগুলোর সামনে এ্যাম্বুলেন্স একলাইনে রাখতে হবে। মূল রাস্তায় কোন মোটরসাইকেল পার্কিং করা যাবে না। রোগীবাহী সিএনজি ব্যতিত অন্য কোন সিএনজি নগরীর ভিতর চলাচল করবে না।
ব্যাটারি চলিত অটো নিয়ন্ত্রণে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম চলমান আছে। কার্যক্রম শেষে বাস্তবায়নে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে।
সকল অটোস্টপেজে অটো একলাইনে রাখতে হবে। একটি স্টপেজে সর্বোচ্চ ১৫/২০ টি অটো দাড়াতে পারবে।
অটো ও সিএনজি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবে। স্বেচ্ছাসেবকদের কটি থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায়ের অটোগুলো কোনভাবেই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ঢুকতে পারবে না। হাইওয়েতে রোড ডিভাইডার কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাটগুদাম সিএনজি স্ট্যান্ডের পাশে অবৈধ হোটেল/দোকানগুলো রোডস্ এন্ড হাইওয়ের সহায়তায় উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদকৃত জায়গায় প্রাথমিকভাবে সিএনজি স্ট্যান্ড করা হবে। রোডস্ এন্ড হাইওয়ের সহায়তায় পাটগুদামে সিএনজি স্ট্যান্ডের স্থানে বাস বে করা হবে। রোডস্ এন্ড হাইওয়ের সহায়তায় পাটগুদাম মোড়ে ঢাকার দিকে যেতে রোড ডিভাইডার দিয়ে ঢাকামুখী রোডে আলাদা লেন তৈরী করা হবে। সকল ডিভাইডারের শুরু ও শেষে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পাটগুদাম থেকে শহরে আসতে কালিবাড়ী রোডের মাথায় অটো দাঁড়াতে পারবে না। পাটগুদাম মোড়ে কোন বাস ২ মিনেটের বেশি দাড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করতে পারবে না। ফিটনেস ও রুট পারমিট বিহীন কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
পাটগুদাম লোকাল বাস টার্মিনাল থেকে বাসগুলো গেইটলক অবস্থায় বের হবে। টার্মিনালের বাইরে রাস্তায় কোন যাত্রী উঠানামা করা যাবেনা। লোকাল স্ট্যান্ডের সীমানায় গেইট থাকবে। টাউনহল সিএনজি স্ট্যান্ডের সিএনজিগুলো একলাইনে রাখা হবে। রোগীবাহী যেসকল সিএনজি চরপাড়ায় আসবে, তারা রোগী নামিয়ে দেয়ার পর কোনভাবেই চরপাড়ায় দাঁড়াতে পারবে। চরপাড়ার অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হবে। রাত্রিকালিন প্রতিটি নৈশকোচে ভিডিও ধারণ, প্রতিটি কাউন্টার থেকে ভিডিও ধারণ এবং কাউন্টার গুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন অবস্থাতেই বালুবাহী গাড়ি ত্রিপল ছাড়া এবং রড ও বাঁশ বাহী গাড়ি প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়া চলতে পারবে না। আকুয়া বাইপাস মোড় থেকে ইটবাহী ট্রাক রাত ৯ টা থেকে সকাল ৮ টার মধ্যে শহরে ঢুকতে পারবে। এসময়ের বাইরে ইটবাহী ট্রাক শহরে ঢুকতে পারবে না। জাতীয় মহাসড়কে থ্রী হইলার চলাচল কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে। মোটর সাইকেলে হেলমেট বিহীন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। মোটর সাইকেলে দুই জনের অধিক চলতে পারবে না। ট্রাফিক পুলিশের লোকবল বৃদ্ধি করা হবে।