আসছে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২২ উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্তে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের আয়োজনে মতবিনিময় সভা হয়। শনিবার সকালে পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে এই সভা হয়।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, পিপিএম এর সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফাল্গুনী নন্দীর সঞ্চালনায় এই সভা হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই পূজাকে সামনে রেখে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ, পূজা চলাকালে আয়োজক ও দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃংখলা বাহিনী সব সময় মাঠে রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মন্ডপে পূজা চলাকালে আনসার সদস্য এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে সম্প্রীতির জেলা ময়মনসিংহ। সম্প্রীতির এই জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে যা দরকার তাই করা হবে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে তাৎক্ষণিক তা মনিটরিং ও আইনী ব্যবস্থা নিতে তিনি সার্কেল অফিসার ও থানার ওসিদেরকে নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। রাত আটটার মধ্যে বিসর্জন দিতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হাফিজুল ইসলাম, গৌরিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, ত্রিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিত সরকার, হালুয়াঘাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাগর দিবা বিশ্বাস, ফুলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক চন্দ্র মজুমদার, গফরগাওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা খাতুন সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা, ওসি কোতোয়ালি মডেল থানা শাহ কামাল আকন্দ, ডিবির ওসি সফিকুল ইসলাম এবং সকল থানার ওসি গন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বিকাশ রায়, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সুজিত বর্মন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রাখাল চন্দ্র সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শংকর সাহা, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট প্রশান্ত কুমার দাস চন্দন, সাধারণ সম্পাদক পবিত্র রঞ্জন রায়, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট তপন দে, সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী রকেট, নারী শক্তি পূজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সীমা সরকারসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পূজা উদযাপন ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে জেলার প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্দির ও মন্ডপের সমস্যা ও করণীয় নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন। এবার জেলায় ৮১০টি মন্দির ও মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।