জাতীয় পতাকা লাগানো লাঠি নিয়ে বিএনপির হামলা এটা শুধু জাতীয় পতাকার অবমাননাই নয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রদর্শন
সম্প্রতি বিএনপির সমাবেশে জাতীয় পতাকা লাগানো বাঁশের লাঠি নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের হামলা, ভাংচুর, মারামারি করছে।দলটির নেতাকর্মীদের বাঁশের লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে অপতৎপরতার ভিডিও-ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। ভিডিও-ছবিতে দেখা যায়, লাঠির মাথায় বাঁধা পতাকা মাটিতে যত্রতত্র পড়ে আছে। কেউ কেউ হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন পতাকা। আবার সংঘর্ষের সময় পায়ে পদদলিত হচ্ছে জাতীয় পতাকা।
এসব ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। কারণ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জাতীয় পতাকার যে লাঠি, সে লাঠি আরও লম্বা করতে হবে। লম্বা লাঠি নিয়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
গেল তিন মাসে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। এসব সংঘর্ষে পতাকা ধরে রাখার আবশ্যিক উপাদান হিসেবে মিছিল-সমাবেশে ঢুকছে লাঠি, কাঠ ও বাঁশ, যা তারা ব্যবহার করছে হামলা মারামারিতে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাজারীবাগে কর্মসূচির নামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর উপর বিএনপির হামলার সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা পতাকা থেকে একে একে লাঠি খুলে সাংবাদিকসহ প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হয়। এরপর বেশ কয়েকজনকে মারধরের দৃশ্যও দেখা যায় ভিডিওতে।
এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাঁশের লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে হামলা চালানো কিসের আলামত? এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন, এটা কি জাতীয় পতাকার অবমাননা নয়?
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, জাতীয় পতাকা হলো আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইন আছে। পতাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হতে হবে। আপনি এমনভাবে ব্যবহার করলেন যার মাধ্যমে শ্রদ্ধাটা প্রকাশিত হলো না তাহলে সেটা অবমাননার শামিল।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যেটা হচ্ছে সেখানে কিন্তু আমরা শ্রদ্ধার প্রকাশ আমরা দেখছি না। এর মাধ্যমে আশংকা করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী যে শক্তি তারা বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য এটা করছে। তারা পতাকাকে এমনভাবে ব্যবহার করছে যে সেটা পদদলিত হলো, রাস্তায় পড়ে থাকলো তাহলে সেটা তো খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ।