পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করতে এই দিবস পালিত হয়।মেয়েদের শিক্ষার অধিকার,পরিপুষ্টি,আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা,নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে এ দিবসের সূচনা হয়। বাংলাদেশেও সরকারী/বেসরকারী উভয় পক্ষ থেকেও দিবসটি পালন করা হয়।সেপ্টেম্বর মাস আসলে জিও,এনজিও কর্মী-সংগঠক,সকল পেশাজীবী কন্যা শিশুদের নিয়ে ভাবতে শুরু করে।গল্প,ছড়া,প্রবন্ধ,কবিতা লেখা,স্মরণিকা প্রকাশ,র্যালী করা,আলোচনা অনুষ্ঠান করা,নাটক করা ও বিতর্ক প্রতিযোগীতা করা হয়। আমি এগুলোর বিপক্ষে কিছু বলতে চাই না কারণ,এতে পরিবারে ও সমাজে সামান্যতম হলেও দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়।কিন্তু আমার প্রশ্ন পরবর্তী সময়ে আমরা তা কতটুকু মনে রাখি? আজ আমি পল্লীগ্রামের অসহায় হতদরিদ্র পিতার দরিদ্রতম একটি কন্যাশিশুর কথা বলতে চাই।যে শিশুটি এক মুঠো ভাতের অভাবে মায়ের কোল ছেড়ে কাজের জন্য শহরে ছুটে আসে।তাদের রুগ্ন,অপুষ্টি চেহারার দিকে তাকালে মনে হয় সত্যি লক্ষী মা ভাতের কাঙ্গাল!তা না হলে কেন তাদের একমুঠো ভাতের অভাব হবে?বিধাতার নির্মম পরিহাস!অভাবের তাড়নায় কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে অবশেষে তারা বাধ্য হয় শহরের কোন এক প্রভাবশালী পরিবারের ক্রীতদাসত্ব বরণ করতে। আজকের কন্যা শিশু আগামী দিনের মা।যে মা সৃষ্টির ধারাবাহিকতাকে ধারণ করে পৃথিবীকে জিইয়ে রেখেছে।সেই হবু মা অর্থাৎ কন্যা শিশুটির শিক্ষা,স্বাস্থ্য,অধিকার নিশ্চিতকরণ তথ্য সার্বিক অবস্থার সহায়ক পরিবেশ ব্যতিরেকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্বনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি কি সম্ভব? কন্যা শিশুর সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে তাদের জন্য যথাযথ শিক্ষা,পুষ্টি,নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।বাল্যবিবাহের হার কমিয়ে আনার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।ইভটিজিং,এবং যৌন নির্যাতনসহ কন্যা শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধে সামাজিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।কন্যা শিশু দিবসে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সব কন্যা শিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।জাতীয় কন্যা দিবসে প্রত্যাশা,ভালো থাকুক দেশের সকল কন্যাশিশুরা।