আসন্ন ২৫ শে অক্টোবর ২০২২ তারিখ এ নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে, সেই সম্মেলন কে ঘিরে , সৎ, ন্যায়,নিষ্ঠা আদর্শবান,জনপ্রিয়, রাজনৈতিকদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৃণমূলের মাঝে চলছে আলোচনা,তাদের মধ্যে অন্যতম সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বিপ্লব মজুমদার। ১৯৮৭ সালে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা বৃহত্তর ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দীন তালুকদারের হাত ধরে, ছাত্র লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করা বিপ্লব মজুমদারকে দূর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান তৃনমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ।
তার পিতা মৃত ভাষা সৈনিক দিলীপ মজুমদার, দূর্গাপুর মোক্তারপাড়া পৌর এলাকায় নিজের জন্মস্থান সেখানেই বেড়ে ওঠা বিপ্লব মজুমদারের। নেত্রকোনার দুর্গাপুর এম কে, সি এম, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৮৭- ১৯৮৯, ৯০ ও ৯১ এর অর্ধেক সময় পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৯০ এর গনঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে ছাত্রলীগ থেকে এক মাত্র তিনি ই গ্রেফতার ও অমানুষিক নির্যাতন এর স্বীকার হন। তবুও এক পা পিচপা হননি। ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা কালিন সময়ে জিরো থেকে হিরুতে পরিনত করেন দূর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ কে।জানা গেছে,খুবই সাদা মাটা জীবন যাপন সহ তৃনমূল আওয়ামী নেতাকর্মীর প্রানের মানুষ বিপ্লব মজুমদার। উল্লেখ্য জনপ্রিয়তা ও বিভিন্ন সফলতায় গত ১৫ জুলাই ২০১১ তারিখ আওয়ামী যুবলীগ দূর্গাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক নির্বাচিত হন তিনি । এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৭২ টি ওয়ার্ডের সম্মেলন ও ৭টি ইউনিয়ন এ আহ্বায়ক কমিটি সহ পৌর যুবলীগ এর সম্মেলন করতে সক্ষম হন। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে রাষ্ট্র বিঙ্গান নিয়ে অনার্স করা বিপ্লব মজুমদার রাজনীতিতে সফলতার পরিচয় দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দূর্গাপুর উপজেলা শাখার সম্মানিত সদস্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ এর দূর্গাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ দূর্গাপুর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, দূর্গাপুর হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ও দূর্গাপুর বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। সততা,নিষ্ঠা, আদর্শ,ও নীতিতে অটল বলেই সফল এই সাদামাটা আওয়ামীগ নেতা,এবং তিনি শুধু আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছে প্রিয় নয় সাধারণ জনগণের কাছেও একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত, এমন অভিমত স্হানীয়দের । এসব বিষয়ে বিপ্লব মজুমদার বলেন, আমার পিতা দিলীপ মজুমদার একজনভাষা সৈনিক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হত্যার প্রতিবাদ কারীদের সংগঠনে সম্পৃক্ত ছিলেন । যার স্বীকৃতী স্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনার অবদান স্নরুপ একলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন। আমরা পারিবারিক ভাবেই জন্ম লগ্ন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বড়ো ভাই দীপক মজুমদার ৮৬/৮৭ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এক কাকা কাঞ্চন মজুমদার ৭৫ সালের প্রেক্ষাপটে প্রতিবাদ করতে গিয়ে, জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে আর্মীর মার খেয়েও তিন বছর জেল খেটে, মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। আরেক কাকা কেন্দীয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। কাজেই আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসি নাই, দলের জন্য কাজ করে এসেছি, করছি,আগামীতেও করবো। এখন দল যাকে সার্বিক পর্যালোচনায় যোগ্য মনে করবেন তাকেই সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।