স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সারোয়ার রহমান ওরফে শান্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় তারিকুল ইসলাম লিমন ও রবিউল হাসান শুভ নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাদেরকে পৃথকভাবে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের দায় স্বিকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
ডিবির ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, গত ৫ অক্টোবর মুক্তাগাছার পাইকা শিমুল নতুন বাজার গরুর হাট হাসিল ঘর সংলগ্ন মাঠে শারদীয় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান চলাকালে সারোয়ার রহমান শান্তকে অজ্ঞাত আসামীরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানার মামলা নং-০৬, তারিখ-০৭/১০/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু হয়।
তিনি আরো বলেন, এ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এর নির্দেশদিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মুক্তাগাছা থানা পুলিশের সাথে যুগপৎভাবে তদন্ত ও অভিযান পরিচালনা করেন। ডিবির একটি চৌকশ টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। সোমবার মুক্তাগাছা থানা এলাকা হতে হত্যাকান্ড ও আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু তারিকুল ইসলাম লিমন (১৭) ও রবিউল হাসান শুভকে আটক করে। এ ঘটনার বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু তারিকুল ইসলাম লিমন ও রবিউল হাসান শুভ হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
ওসি সফিকুল ইসলাম গ্রেফতারকৃত লিমন ও শুভ এর বরাত দিয়ে আরোনবলেন, হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার ৮/১০ দিন পূর্বে বিরোধের জের ধরে পলাতক আসামীদের সাথে আলোচনা করে সারোয়ার রহমান শান্তকে তারা হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারিকুল ইসলাম লিমন, রবিউল হাসান শুভ এবং পলাতক আরো ২ আসামী ধারালো ছোরা নিয়ে সারোয়ার রহমান শান্তকে হত্যার জন্য ঘটনাস্থলে অপেক্ষমান থাকে। এমতাবস্থায় ঐদিন রাতেসারোয়ার রহমান শান্তকে লোকচক্ষুর আড়ালে ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার তাদেরকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে তারা স্বেচ্ছায় কাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ওসি আরোবলেন, এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পলাতক অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।