ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক দীপক কুমার নাগের বিরুদ্ধে সিআইপি আমিনুল হক শামীমের মেয়ে মাহজাবীন হক মাশার চোখের ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হওয়ার অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ১০ আগস্ট ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঢাকার সোবানবাগ এলাকার দীন মো. চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দীপক নাগকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। চিকিৎসক দীপক কুমার নাগের বিচার দাবিতে এর আগে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করা হয়। আজ আবারও তার শাস্তির দাবীতে হাজার হাজার নারী পুরুষের অংশ গ্রহনে মানববন্ধন করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করা ও সোসাল মিডিয়ায় ব্যপক প্রচার করা হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানাকে এফআইআরভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী মাহজাবীন হক মাশা ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ও সিআইপি মো. আমিনুল হক শামীমের বড় মেয়ে। মাশার স্বামী এসএসএফের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা।
বাদীর অভিযোগ, গত জুন মাসে মাহজাবীন হক মাশার চোখের সমস্যা হওয়ায় দীন মো. চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দীপক নাগের চিকিৎসা নেন। এ সময় তিনি মাশার চোখে লেজার প্রতিস্থাপন করেন। কিন্তু লেজার লাগানোর পর চোখে অন্ধকার দেখা শুরু করে মাশা। এই অবস্থায় মাশাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান লেজার স্থাপনের কারণে মাশার চোখের ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।
মাশা জানায়, পরে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুংগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভুল চিকিৎসার কারণে মাশার চোখের রেটিনার ৩৩ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে।
বাদী সামিউল হক সাফা বলেন, চোখে অতিরিক্ত লেজার লাগানোর কারণে আমার বোনের এত বড় ক্ষতি হয়েছে। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা কারো সঙ্গেই আর না ঘটে, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এটাই আমার প্রত্যাশা।