স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহে চাঞ্চল্যকর কাশেম আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোবারক হোসেনকে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ। বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। সে বেগুনবাড়ি বরিয়ান গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। কোতোয়ালী মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হলে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, নিহত কাশেম আলীর সাথে আটককৃত মোবারক হোসেনদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে গত ৮ অক্টাবর রাতে মোবারক হোসেন তার সঙ্গীয় অন্যান্যরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে কাশেম আলীকে তার নিজ বসত বাড়ী হতে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে অনুমান দূরবর্তী নদীর পাড়ে নিয়ে যায় এবং এলোপাথারি মারপিট করে গুরুতর জখম করে অজ্ঞান অবস্থায়ফেলে রেখে চক্রটি পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত ও অচেতন অবস্থান পেয়ে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এব্যাপারে নিহতের স্ত্রী ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং- ৩৭, তারিখ-০৯/১০/২০২২খ্রি. ধারা-১৪৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড। র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর আখের মোহাম্মদ জয় জানান, এ হত্যাকান্ডের সংবাদ পাওয়ার পরপরই র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ছায়া তদন্ত, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে জোর তৎপরতা শুরু করে। পরবর্তীতে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার মুলহোতা এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোবারক হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্বজিত কুন্ডু হত্যাকান্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুমন ওরফে পেটকা সুমন নামে পলাতক আসামীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।