অপরূপ সৌন্দর্য বিলিয়ে দিচ্ছে ফুলবাড়ীয়া বড়বিলার “শাপলা বিল”।নীল জলে লাল সাদা শাপলার অপরূপ সৌন্দর্যের সমারোহ দেখা যাচ্ছে এই বিলে। পদ্মের বাহারে আপনাকেও আসার স্বাগতম জানিয়েছে ফুলবাড়ীয়া হেল্পলাইনের এডমিন সাদিয়া এনায়েত।
সকালের সূর্যের আলোতে লাল-সাদা শাপলার ঝলমলের বাহারী উজ্জ্বলতা দেখলেই, যে কারো মন কাড়ে। ভোরের আলোয় এর অপরূপ সৌন্দর্য, মন ভরে উপভোগ করা যায়। এ বিলের পানিতে শাপলার লতাপাতাগুলো বিলের পানিকে মাঝে মাঝে ঢেকে দিয়েছে। বাহারী শাপলা পাতা আর ফুল যেন লুকিয়ে রেখেছে মাতৃস্নেহে নীল রংয়ের পানি। নৌকা চালানোর কোথাও সরু পথ যেন, কোন কপোত কপোতির লুকিয়ে রাখার মতই।
হাজারো লাল-সাদা শাপলার কারণে এই বিলের পরিচিতি হয় “শাপলার বিল”। এ বিলকে অনেকে আবার পদ্য বিল নামে ডাকে। এ বিলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা প্রতিদিন আসে।
দর্শনার্থীদের ভিড়ে দিন দিন মুখরিত হয়ে উঠছে এই বড়বিলা শাপলা বিল। শাপলার মাঝে বাংলার রূপ খুঁজে পাচ্ছেন এখানকার মানুষ। সূর্যোদয়ের সময় সূর্য রশ্মি ফুটন্ত শাপলার উপর পড়ার পর এক অপরূপ দৃশ্যে ফুটে উঠে এই শাপলা বিলে। আপনারো মন চাইবেই ভালোবাসার মানুষটি খোপায় একটা ফুল গুজে দিতে। বড়বিলের শাপলা বিল দেখলেই মনের গতিও যেন পরিপর্তন হয়ে যায়।
সূর্যোদয়ের সময় আলোক রশ্মি ফুটন্ত শাপলার উপর পড়ার সময় এক অপরূপ দৃশ্যে ফুটে উঠে এই শাপলা বিলে।
স্থানীয় নৌকার মাঝি বারেক বলেন, শাপলা বিল আমাদের উর্পাজনের পথ হয়েছে।প্রতি বছর এই সময় বড়বিলা শাপলা বিলে ফোটা শাপলাফুল দেখার জন্য এখানে দূর- দূরান্তের মানুষ আসে। শাপলা ফুল দেখতে আসা মানুষদের নৌকায় উঠিয়ে বিলটি ঘুরাই।
দর্শনার্থী অনেকে বলেন, শাপলা বিলে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। ফুল ফোটার অপরূপ দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। এই শাপলা বিলটি একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করেছে। এটি সংস্কার অর যোগাযোগ ব্যবস্তার উন্নতি করা দরকার।
শাপলা বিলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা এবং প্রেমিক যোগল বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এই শাপলা বিল ফুলবাড়িয়ার এই প্রত্যন্ত এলাকায় সৌন্দর্য বিলিয়ে দিচ্ছে। প্রতি বছর এই সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাজের ফাঁকে বিলে ঘুরতে আসি।
আপনিও আসতে পারেন স্বপরিবারে, বন্ধুবান্ধব ও ভালোবাসার মানুষ নিয়ে। প্রান খুলে উপভোগ করতে পারেন বড়বিলার অপরূপ শাপলা ফুলের সৌন্দর্য। আর কিছু নাইবা পেলেন প্রকৃতির সৌন্দয আপনার মন কেড়ে নিবেই!
যাতায়েত ব্যবস্তাঃ ময়মনসিংহ হতে ফুলবাড়িয়া, সেখানে বাস স্ট্যন্ড হতে কেশর গঞ্জ বাজার (সিএনজি বা অটো) ভাড়া জনপ্রতি ২০টাকা। কেশরগঞ্জ বাজার থেকে বাবুলের বাজার (অটো বা ভ্যান) জনপ্রতি ভাড়া ১৫-২০ টাকা। আর সেখান থেকে পায়ে হেটে মাত্র ৭ মিটার পথ পেরুলেই বড়বিলা।