স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহের ভালুকায় অটোচালক মোফাজ্জল হোসেন হত্যাকান্ডের পাঁচ দিনের মধ্যে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে আটকসহ ছিনতাইকৃত ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম সোমবার দুপুরে প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান, গত ১৯ অক্টোবর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার আমতলী থেকে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজারে যাওয়ার কথা বলে যাত্রী বেশে গাড়িতে উঠে কয়েক দুর্বৃত্ত। কিছুদূর যাওয়ার পর অটোচালক মোফাজ্জল হোসেনকে (২৬) গলায় গামছা পিছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নামে ভালুকা থানায় ৩০২/৩৭৯/ ২০১/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর একটি চৌকষ টিম তদন্তে মাঠে নামে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবিবার গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত বাবু মিয়া (২৩), রিয়াল মিয়া(২২), শামীম(১৯), নাইম আহমেদ(২৪) ও একজন শিশুকে আটক করে। পরে তাদের তথ্য মতে, নিহতের ছিনতাইকৃত ইজিবাইক শ্রীপুরের একটি গ্যারেজ থেকে ও আটক বাবু মিয়ার কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে র্যাব। অধিনায়ক আরো, জানান আটককৃতরা নাইম আহমেদের কাছে পাঁচটি ব্যাটারি ১৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এর মাঝে বাবু, রিয়াল এবং শামীম ৬ হাজার টাকা ভাগ করে নেয় এবং আটককৃত শিশুটিকে ২শত টাকা দিয়ে ইজিবাইক বিক্রি করে ভাগ সমন্বয়ের কথা বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। প্রেস বিফ্রিংয়ে র্যাব-১৪ উপ-পরিচালক (পুলিশ সুপার) জয়ীতা শিল্পীসহ র্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আটককৃতদের ভালুকা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালকা উপজেলার হবিরবাড়ী কামিনী পাড়া গ্রামে বলে র্যাব জানিয়েছেন।