বি,বাড়িয়ার মাদক ব্যবসায়ী মুক্তা। স্বামীর সুত্রে ময়মনসিংহে বসবাস করে। প্রতিমাসে প্রায় কোটি টাকার গাজা ও ইয়াবা ময়মনসিংহে আনছেন। তার সাথে থেকে গাজার ব্যবসা করে তারাকান্দা থানা এলাকার পুলিশের সোর্সেরাও। এখন তারা বিপুল অর্থের মালিক বনে গেছেন। বি,বাড়িয়া থেকে শুরু করে মাদক সম্রাঙ্গী মুক্তা ময়মনসিংহ জেলায় বিভিন্ন থানার পুলিশের কাছে একটি পরিচিত নাম। একাধিকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নাম পরিবর্তনও করেছেন। বিভিন্ন এলাকায় থেকে নাম করে পরিবর্তন করেছেন এনআইডি কার্ডও।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাদক সম্রাট সুজাতকে কে-নাচিনে? সুজাতের শাশুরী মাদক স¤্রাঙ্গী মুক্তা। তার আরেটি নাম হচ্ছে নাজমা। তার দেশের বাড়ি বি,বাড়িয়ার নয়নপুর বাজার (নয়নপুর)।তার বাবার নাম ইউনুছ মিয়া। মায়ের নাম আনোয়ারা। মুক্তার মা বি,বাড়িয়ার কসবা থেকে গাজা ও ইয়াবা পাঠান ময়মনসিংহের গাজা ব্যবসায়ীদের কাছে। মুক্তার মাধ্যমে তা বন্টন হয়। তারাকান্দায় মাদক ব্যবসায়ী ও কতিথ পুলিশের সোর্স সোহেল ও নুরু উপস্থিত থেকে গাজা ভর্তি গাড়ী খালাস করতো। এলাকায় প্রচার রয়েছে এখন তারা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকদের সাথে মিশেগেছে। এরা বড় মাপের মাদত ব্যকসায়ী হয়ে তাদের কাছ থেকে গাজা কিনে নেয়ার সময় হকার বিক্রেতাদের ধরিয়ে দেয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরাও কেন জানি শিখড়ে যায়না? মুৃক্তার গাড়ী ভর্তি গাজা নামানোর দ্বায়িত্ত¡ থাকে সোহেল ও নুরুর উপর।
মুক্তার আরেক সহোদর ভাই মোঃ হাবিবুর রহমান উরফে ছোটন গাজা মুক্তার কাছে পৌছে দিতো। সে র্যাবের হাতে ৪০ কেজি গাজাসহ আটক হন। ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জ থানার মামলা নং ৪ আগষ্টের ৫ তারিখ। তার জামিন করাতে মুক্তা এখন মরিয়া হয়ে লেগেছেন। মুক্তার একটি মাদক মামলার ১০ তারিখে রায় হতে পারে। সুজাত সম্প্রতি ঢাকা ডিবি’তে আটক হয়েছিল।
মুক্তা এক বিডিআরের সাথে বিয়ে হয়ে সে তারাকান্দা থানা এলাকায় রাজধারিকেল গ্রামে আসেন। সেখানে গাজা সরবরাহকারী মুক্তার কামলা (শ্রমিক) জজ মিয়ার সাথে পরিচয় ঘটে। পরে মুক্তা তার হাত ধরে ঘর ছাড়েন এবং বিয়ে করেন। স্বামীকে সে মোটর সাইকেল কিনে দেন। তখন বাড়ি ছেড়ে তিনি কুদালধর এলাকায় থাকতেন। মাদক ব্যবসার কথা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় জনগন তাকে আটক করে। তখন তারাকান্দা থানার এএসআই রুবেলের সহায়তায় ছাড়া পান। এর পরে মুক্তা এখান থেকে বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।
মাদক সম্রাঙ্গী মুক্তার প্রতিটি চালানে ৫০ থেকে ২শ কেজি গাজা থাকে বলে সুত্র জানায়। তিনি ৩/৪টি স্থানে গাজা রাখেন। ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানা এলাকা, গৌরীপুর থানা এলাকা, ঈশ্বরগঞ্জ থানা এলাকা ও ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকায় বিভিন্নস্থানে গাজা ও ইয়াবা রাখেন। যাদের বাড়িতে গাজা ও ইয়াবা রাখেন তাদের প্রায় সবাই পুলিশের সোর্স ও মাদক ব্যবসায়ী বলে এলাকায় পরিচিত। উল্লেখিত থানা এলাকায় মুক্তার প্রায় ৪০ জন কর্মচারী রয়েছে। বিশেষ করে রাতে বা দিনে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও সিএনজি দিয়ে গাজা ও ইয়াবা ক্রেতাদের কাছে মাদক পৌছে দেয়। তাদের চুক্তিকরা এশাধিক বাহন রয়েছে বলে সুত্র জানায়। কতিপয় পুলিশের সাথে রয়েছে তাদের দহরম মহরম সম্পর্ক। মুক্তার মাদক ব্যবসায় টাকার জোগান দিয়ে কতিপয় পুলিশ অফিসার। এখন সোর্স ও টাকার মালিকরাও বিপুল পরিমান টাকাে মালিক বনে গেছেন বলে একাধিক সুত্র জানায়।