চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নেতাকর্মীদের ‘হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ’ এনে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছে একটি ছাত্রলীগের একটি পক্ষ।
সোমবার রাতে চমেকের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র খোরশেদুল ইসলাম বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ১৬ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বাদি হয়ে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ’
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও স্থগিত সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী চমেক হাসপাতালে দুটি নাসাল ক্যানুলা দিয়ে ফেরার পর হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এদের মধ্যে একটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল অনুসারী এবং অপরটি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
এদিকে, মামলার আসামিদের মধ্যে চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তার, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা আছেন। আসামিরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। মামলার আসামিদের মধ্যে পাঁচজন চমেক’র বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যরা সাবেক শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন ডাক্তার।
মামলার বাদি চমেক এর চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খোরশেদুল ইসলাম শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
খোরশেদুল বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতে হামলা, প্রাণনাশের হুমকি এবং মারধর করে আহত করার অভিযোগে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছি।
প্রসঙ্গত, চমেক ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ওই কমিটিতে শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর পক্ষের কেউ না থাকলেও চমেক ছাত্রলীগের তার বেশ কিছু অনুসারী আছে।