স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহে বসতবাড়ির দরজার তালা ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় বিপুল মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত বিপুলের বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও খোয়া যাওয়া টাকার কতক অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ডিবির ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, ১৩ নভেম্বর নগরীর ৩/২৯ বলাশপুর ৬ তলা ভবনের নিচ তলায় মাহবুবুল আলম রনির বাসায় দরজার তালা ভেঙ্গে চোর প্রবেশ করে। চোর আলমারীতে রক্ষিত ৯/১০ ভরি স্বর্ণালংকার (যার মুল্য অনুমান সোয়া ৭ লাখ টাকা) এবং নগদ ২ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৮৩/১২১৬ তারিখ-১৯/১১/২০২২ ইং ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড দায়ের হয়। মামলাটি অধিক গুরুতের সাথে বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভুঞা চুরির রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার এবং চুরি হওয়াস্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারের জন্য জেলা গোয়েন্দা দায়িত্ব দেন। ডিবি লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতারে টানা অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে সোমবার নগরীর পাটগুদাম এলাকা থেকে চোর মোঃ বিপুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিপুল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, তার নিজ বাড়ির গৌরীপুর থানার গঙ্গাশ্রমে নিজ বসত ঘরে চোরাই স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত বিপুলের তথ্য মতে তার বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। অবশিষ্ট চুরি যাওয়া নগদ টাকা উদ্ধারে জন্য ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের
আবেদনসহ তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া নগদ টাকা উদ্ধারের জন্য ডিবির একাধিক টিম নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। ওসি সফিকুল ইসলাম আরো বলেন, আসামি বিপুল মাহবুবুল আলম রনির বাসায় পরিচারক হিসেবে কাজ করতো। ইতোপূর্বে সে একাধিক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে বাসাবাড়ীতে চুরি করে চাকরি হারিয়ে বিতাড়িত হয়েছে। এছাড়া নগদ টাকা উদ্ধারের জন্য ডিবির একাধিক টিম নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।