ময়মনসিংহের ফুলপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে কুখ্যাত মাদক কারবারী আব্দুল আজিজ সিন্ডিকেটের প্রধান একাধিক মাদক মামলার আসামি আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর চন্দন গোপাল সুরের নেতৃত্বে শনিবার সকালে ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বিলাসাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ সময় তার কাছ থেকে ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪০ হাজার টাকা।
অপকর্ম করে যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ ধরা না খায়,ততক্ষণ পর্যন্ত যে সবাই সাধু পুরুষ।তারপর একদিন যখন সবকিছু ফাঁস হয়,সাধক পরিণত হন মহাপাতকে।তবে সবাই নন,কেউ কেউ।আবদুল আজিজ তার জলন্ত উদাহরণ।
মাদকের টাকায় মাত্র কয়েক বছরে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন ফুলপুর থানার বালিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিলাসাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত জবেদ আলী ফকিরের ছেলে আব্দুল আজিজ।
আব্দুল আজিজের আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়ার পিছনের রহস্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে থলের বিড়াল।অনুসন্ধানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দশ বছর আগেও নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা ছিল তার।দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন,বসবাসের জন্য ছিল একটি মাত্র টিনের ঘর।তার এই জীবন বদলের খেলায় ভাগ্য ঘুরিয়ে দেয় মাদকের ব্যবসা,টানাপোরেনের সংসারে রহস্যজনকভাবে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যান তিনি।
বর্তমানে আব্দুল আজিজ ২৫/৩০ লাখ টাকার মালিক,স্থানীয় একটি মসজিদে সহকারী মোয়াজ্জেমের ছদ্মবেশে মাদক ব্যবসা থেকেই রাতারাতি বদলে গেছে তার জীবন।স্থানীয় কথিত জনপ্রতিনিধি ও কথক রাজনৈতিক ছিঁচকে নেতার বলয় ম্যানেজ করে ২০ বছর ধরে এই ব্যবসা চালিয়েছে বহাল তবিয়তেই।
২০১১ সালের ১৮ আগষ্ট ফুলপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল আজিজের পরিবারের একাধিক সদস্য ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ছেলে জহুরুল ইসলাম ওরফে জড়ুলকে গত বছরে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
একমাত্র মেয়ে সোমার জামাই ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরানগঞ্জ চরের বাসিন্দা শাজাহান ওরফে সাজু মিয়ার নামেও মাদকের মামলা আছে ডিবি কার্যালয়ে।প্রশাসনের কাছে আজিজ সিন্ডিকেটের কাউকে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে এসে মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান আগে সে দিনমজুরি করতো এখন তিনি বিলাসী জীবন যাপন করেন তিনরুমের একতলা পাকা বাড়িতে তার রাজকীয় জৌলুস।কথিত এই অর্থের উৎস কি?
চরম সাংবাদিক বিদ্বেষী এই আজিজ সাংবাদিকদের কথা শুনলেই ক্ষেপে যান।ভর্ৎসনা ও অসম্মানজনক মন্তব্য করেন।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অত্যুক্তি প্রকাশ করে বলেন-আপনারা যা খুশি লেখেন,আমার বিরুদ্ধে লিখলে কিছু হবে না।আমি উপর মহল ম্যানেজ করেই চলি।
ময়মনসিংহের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর চন্দন গোপাল সুর বলেন মাদকের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।