ময়মনসিংহ শহরের কাচারীঘাটে চেম্বার অফ কমার্সের আয়োজনে শিল্প ও বানিজ্য মেলার ব্যানারে আয়োজিত মেলা যেন, এক আতংকের নামে পরিনত হয়েছে। শিক্ষা নগরী ময়মনসিংহে হাই স্কুল ও প্রাইমারী স্কুলে পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে কোন সচেতন ব্যক্তিরা এই মেলার অনুমতি দিলেন।মেলাটি মুলত এক অদৃশ্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে বলে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। মেলা শুরুর দিনই হয়েছে মারামারি।উদ্ভোধনের সময়ে তাদের মদদ পুস্ট চিহ্নীত ৫/৬ জন সাংবাদিকদের দাওয়াত দিলেও সাংবাদিকের উপস্থিতি হয়ে যায় ৮০ জনের মত। পরীক্ষা চলা সময়ে মেলা উদ্ভোধন হওয়ায় এর কোন বৈধ অনুমতি আছে কিনা জানতে চাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে বিরোধ ঘটে। মেলার আয়োজক সন্ত্রাসী এসময় এক সাংবাদিকের মাথা ফাটিয়ে দেয়। আহত সাংবাদিক চিকিৎসা নেয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।তবুও টনক নড়েনি প্রশাসনের?
মেলায় মানসন্মত বাহারী কোন পন্য চোখে পড়েনি।দামেও চড়া। গেইটের টিকিটে চড়া মূল্য হলেও ভিতরে দেখারমত তেমন কিছু চোখে পড়েনি।মেলার স্টল গুলোতে দেখা গেছে ময়মনসিংহ শহরের চক বাজারের নিম্নমানের বাহারী পন্য, জুতাও রয়েছে হকার মার্কেটের এবং বাসাবাড়ি মার্কেটের রয়েছে বাহারী কাপড়ের থান।মেলায় আছে আচারেরে দোকান ও চটপটির দোকান।যেগুলো আগে সাহেব কোয়াটার পার্কে বসতো।
কি আছে মেলায়? লাইটিং ব্যবস্থা চমৎকার। আপনি ক্রেতা হিসেবে পন্য কিনলেও ধরা খাবেন এমন অভিযোগ সাধারন মানুষের।মেলায় আপনি কসমেটিক পাবেন।খুব টেকসই নাহলেও বাহারী।সাধারন মানুষ মেলাকে ভিন্ন আখ্যা দিয়েছেন।মেলায় মানসম্মত কোন পণ্য নেই বলে মেলায় আগতরা জানান।
স্কুলে পরীক্ষা চলা সময়ে মেলা বন্ধের দাবীতে ময়মনসিংহের তৃনমূল সাংবাদিকের ব্যানারে মানব-বন্ধন করেছেন।আজ বুধবার শহরের ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে ঘন্টা ব্যাপী মানব-বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তারা পরীক্ষা চলা সময়ে মেলা বন্ধের দাবী জানান।