বিভাগীয় নগরী ময়মনসিংহে মোবাইল ফোন হারিয়ে প্রতিদিন কোতোয়ালী মডেল থানা ও জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। এছাড়াও পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের উর্দ্বতন কর্মকর্তাগন হারানো মোবাইল উদ্ধারে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দকে তাৎক্ষণিক ফোন করেন। মোবাইল হারানোর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগনের আবেদন সহ উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের সকল নির্দেশনাকে ওসি শাহ কামাল আকন্দ গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কোন কাল বিলম্ব না করে থানায় কর্মরত এএসআই আমির হামজাকে মোবাইল উদ্ধারে নির্দেশ দেন। এএসআই আমির হামজা সকল নির্দেশনাকে গুরুত্ব দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে মাঠে নামেন। এভাবে এক বছর কয়েক মাসের মধ্যে এক হাজারের অধিক মোবাইল উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
এর আগে ৩৯ তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে কর্মরত ডাঃ আদিল ইফতেখার এর হারানো মোবাইল কোতোয়ালী থানা এএসআই আমির হামজা দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার করেন। তৎ সময়ের পুলিশ সুপার উদ্ধারকৃত মোবাইলটি মালিকের হাতে তুলে দেন। মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে পুলিশের সময় লেগেছে মাত্র দুইদিন। এভাবে গত একবছর কয়েক মাসে এক হাজারের অধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের হাতে দেয়া হয়।
তথ্য মতে, কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে শাহ কামাল আকন্দ পিপি এম (বার) যোগদান করেন প্রায় এক বছর কয়েক মাস হলো। যোগদানের পর জনগনের মোবাইল হারানো, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধারে প্রযুক্তিগত এ এস আই আমির হামজাকে দায়িত্ব দেন। থানার বিভিন্ন সেবা মুলক কাজের পাশাপাশি তিনি মোবাইল উদ্ধার কাজে বেশীর ভাগ সময় দেন। এই এক বছর কয়েকদিনে এ এসআই আমির হামজা এক হাজারের অধিক মোবাইল উদ্ধার করেন।
নিয়মিত কাজের বাইরে হারানো মোবাইল উদ্ধারেরমত ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন পুরস্কারও। অফিসার ইনচর্জ শাহ কামাল আকন্দ যোগদান করার পর এ সেবা ব্যপকভাবে চালো হয়। উপকৃতও হচ্ছে ময়মনসিংহের জনগন।
পুলিশ জানায়, আমির হামজা শুধু তার কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকার মোবাইল উদ্ধার করেন না। বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের জন্য তার দ্বারস্থ হন অনেকে। কাউকে হতাশ হতে হয়নি তার কাছে গিয়ে। সাধ্যমতো চেষ্টা করে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাদের মোবাইল উদ্ধার করে দিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় কর্মরত আছেন। আমির হামজা এর আগে ডিআইজি অফিসে কর্মরত ছিলেন। পরে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখায়। কোতোয়ালী মডেল থানায় প্রায় এক বছর এর অধিক সময় ধরে কর্মরত আছেন। এ সময়ের মধ্যেম তিনি এক হাজারের অধিক মোবাইল উদ্ধার করে অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দের মাধ্যমে মালিকদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়াও অপরাধ দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরার কাজও করছেন এ এস আই আমির হামজা।
অনেকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা আমিরের চমৎকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি সে পুলিশের বিভিন্ন ডিউটি ও গুরুত্বপূর্ণ অভিযান কাজেও অংশ গ্রহন করে থাকেন। মোবাইল হারানোর জিডি হলেই তার ডাক পড়ে। তিনিও চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্ধারে নেমে পড়েন। উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকেন। কর্মজীবনের প্রায় অনেকটা সময় তিনি সুনামের সাথে কাটিয়েছেন। হারানো মোবাইল উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনটিতে তিনি দু’দিন থেকে শুরু করে দুই মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। শুধু মোবাইল ফোন উদ্ধারই নয়। আমির হামজা বলেন, মোবাইল ফোন উদ্ধারে আমি মোবাইলের দাম বা ব্যক্তির মূল্যায়ন করি না। যত কম দামের মোবাইল হোক বা গরিব রিকশাচালক কিংবা শ্রমিকের হোক সমান গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার করি। কারণ মানুষের অনেক মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গেলে সে ততটা কষ্ট পায় না, “যতটা কষ্ট পায় একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে”। কারণ মোবাইলে অনেকের অনেক স্মৃতি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। যা হারিয়ে গেলে তার অনেক ক্ষতি ও মনে কষ্ট হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি শাহ কামাল আকন্দ যোগদানের পর মোবাইল উদ্ধার সংক্রান্ত কাজ করায় জনগনের কাছে বাড়তি সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রযুক্তির এই সেবা পেয়ে জনগন উপকৃত হচ্ছে।