ময়মনসিংহ ফুলপুরের ১০ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪ টির নেই নিজস্ব ভবন।মান্দাতার আমলের ভাঙাচোরা টিনশেড ঘরে চলছে কার্যক্রম।এতে সেবা প্রত্যাশীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।তবে কমপ্লেক্স ভবনের জন্য বারবার আবেদন করেও লাভ হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।
উপজেলায় বর্তমানে ১০ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে মাত্র ৬টি ইউপি কার্যালয়ে নতুন সরকারি আধুনিক ভবনের মুখ দেখলেও বাকি ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ এখনো পুরানো ও জরাজীর্ণ কার্যালয়ে চালিয়ে আসছে পরিষদের কার্যক্রম।
দেশ উন্নয়নের ছোঁয়া শহর থেকে গ্রাম পর্যায় পৌঁছে গেলেও তৎকালীন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকারের অধীনস্ত কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় আধুনিক ভবনের মুখ দেখেনি ইউনিয়নবাসী।
উপজেলার ছনধরা,রামভদ্রপুর,ভাইটকান্দি, রূপসী স্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন না থাকায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না এ ৪ ইউনিয়নবাসীর।নির্বাচিত পরিষদ,দাফতরিক কর্মচারী,ডিজিটাল সেন্টারের সরঞ্জাম-সবই আছে।শুধু নেই এসব মালামাল রাখার স্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।
গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকলেও অনেক কার্যালয়ের দরজা-জানালা ভাঙা।বসার স্থান ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় ইউনিয়নবাসীর।এতে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে ইউপি কার্যালয়।
ফলে গ্রাম্য আদালত,ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম চলছে না।শিক্ষা,স্বাস্থ্য,কৃষিসহ মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে ১৮টি দফতরের যেসব সেবা ইউনিয়ন পরিষদে পাওয়ার কথা,ভবন না থাকার কারণে সেসব সেবা সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে পাচ্ছেন না।
ছনধরা ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমদ জানান,এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান জানান,কাগজপত্রসহ ভবন নির্মাণের উপযোগী সবকিছুই ঠিক থাকলেও কোনো টেন্ডার নোটিস জারি করা হচ্ছে না।
রূপসী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন,পরিষদের বর্তমান পুরাতন ভবনটি জেলা প্রশাসকের জায়গায় অবস্থিত।এই পরিষদের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই।জায়গা ও ভবন সংকটের কারণে পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান,সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ভবন নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।